Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | টেকনাফে সন্ত্রাসী হামলায় আহত যুবকের ৬ দিন পর মৃত্যু

টেকনাফে সন্ত্রাসী হামলায় আহত যুবকের ৬ দিন পর মৃত্যু

নিউজ ডেক্স : ছয় দিন লড়াই করে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন টেকনাফের যুবক আবুল ফয়েজ ফুরিংগা (২৯)। আজ শনিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম রয়েল হাসপাতালে মারা যান তিনি। তিনি স্থানীয় ফরিদ আলমের ছেলে।

গত ৭ নভেম্বর সোমবার বিকাল পৌনে ৪টার সময় টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড নাজির পাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হন উক্ত যুবক।

নিহতের মা জুলেখা বেগম জানান, ৭ নভেম্বর সোমবার বিকাল ৩টার সময় টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া গ্রামের খোলা মাঠে সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার স্বামী ফরিদ আলম(৫২)কে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মারধর করতে থাকে। এ খবর পেয়ে ছেলে আবুল ফয়েজ ফুরিংগা ও আবুল হাসিম (২৭) তাদের পিতাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাদেরও হামলা চালিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন এসে আহদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়।

আহত আবুল ফয়েজকে মারাত্মক আহত অবস্থায় টেকনাফ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে চট্টগ্রামের বেসরকারি রয়েল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় আজ শনিবার দুপুরে মারা যান আবুল ফয়েজ।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের জের ধরে একই গ্রুপের লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় আবুল ফয়েজ ফুরিংগাকে একই গ্রামের হেলাল, নরু খোকন, আবসার সহ কয়েকজন মিলে বেধড়ক মারধর করে আহত করে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম বলেন, “টেকনাফে সন্ত্রাসী হামলায় আহত যুবকের মৃত্যু হয়েছে এমন সংবাদ পেয়েছি। এ বিষয়ে লিখিত এজাহার দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।” এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, এর আগে চিহ্নিত এই সন্ত্রাসী আবসার বাহিনীর হামলায় আহত হয়েছে মো. মতিউর রহমান নামে এক আলীম পরীক্ষার্থী। সে সাবরাং কোয়াইনছড়ি পাড়ার মৌলভী আবদুল করিমের ছেলে।

৫ নভেম্বর রাত ৯টার সময় নাজির পাড়া রাস্তায় মোটরসাইকেল আটকিয়ে তাকে হামলা করে সন্ত্রাসীরা। পরে সে আর পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি বলে জানান আহতের পিতা মৌলভী আবদুল করিম।

এছাড়া গত ৩১ আগস্ট দুপুরে আবুল ফয়েজ ফুরিংগার সাথে একই গ্রামের মোহাম্মদ ইউনুসের ছেলে আব্দুল আমিনের সাথে তর্কবিতর্কের জের ধরে ছেলে আব্দুল আমিনের ছোড়া গুলিতে আহত হয়েছিল পিতা মোহাম্মদ ইউনুস। তবে ওই ঘটনায় মামলা হলেও প্রকৃত আসামিদের নাম এজাহারে না দিয়ে তৃতীয় পক্ষের লোকজনকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। -আজাদী অনলাইন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!