Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | জাল ফেলছে দুদক লক্ষ্য হুইপ সামশুল শাওনসহ অর্ধশত

জাল ফেলছে দুদক লক্ষ্য হুইপ সামশুল শাওনসহ অর্ধশত

Dudok_120160913113142

নিউজ ডেক্স : অবৈধ পথে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন এবং বিদেশে অর্থ পাচার করেছেন- সন্দেহভাজন এমন অর্ধশত ব্যক্তিকে নিয়ে অনুসন্ধানে নামছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ক্যাসিনো বন্ধে অভিযান পরিচালনাকারী র‌্যাবের সঙ্গে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ক্যাসিনো বন্ধে র‌্যাবের অভিযানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হওয়ার তথ্য প্রকাশের এক মাসের মধ্যে তালিকা ধরে অনুসন্ধানের কথা জানাল দুদক। 

গতকাল মঙ্গলবার দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, বিভিন্ন সংস্থা ও গণমাধ্যমের তথ্য থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের নাম পেয়েছি। এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের তালিকা তাদের হাতে রয়েছে। এই সংখ্যাটি আরও বাড়বে। ওই সব ব্যক্তিদের অবৈধ সম্পদ এবং মুদ্রা পাচারে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কমিশন মামলা করবে বলে জানান তিনি।

দুদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই তালিকায় চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী এবং ভোলার সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের নাম রয়েছে। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলার মধ্যে যুবলীগের নেতা শাওন ও তার স্ত্রী ফারজানা চৌধুরীর ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। অন্যদিকে চট্টগ্রামে র‌্যাবের অভিযান নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, যিনি চট্টগ্রাম আবাহনীর মহাসচিব।

ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানের নামও রয়েছে দুদকের তালিকায়। জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক জি কে শামীম, তার স্ত্রী শামীমা সুলতানা ও মা আয়েশা খাতুনের সম্পদের অনুসন্ধানও চালাবে দুদক। আলোচিত এই ঠিকাদারকে বিভিন্ন কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় গণপূর্তের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হাই ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাফিজুর রহমানের নাম আছে এই তালিকায়।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. কাওসার, গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এনামুল হক এনু ও তার ভাই থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়া, ঢাকা দক্ষিণ সিটির কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা এ কে এম মোমিনুল হক ওরফে সাঈদ কমিশনার, আরেক কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বকুলের সম্পদের খোঁজও নেবে দুদক।

ক্যাসিনো পরিচালনায় জড়িতদের সম্পদের অনুসন্ধানে গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক উদ্যোগ নেয় দুদক। দুদকের মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) সাঈদ মাহবুব খানকে তদারক কর্মকর্তা ও পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে প্রধান করে সেদিন একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়। কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে এনবিআর থেকে আয়কর নথিপত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। শিগগিরই সেই তালিকা ধরে সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিস দেওয়া হবে। কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুসন্ধান কর্মকর্তারা তলবও করবেন।

গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান দুদক প্রধান কার্যালয়ে আসেন। এ সময় তিনি ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের অর্থ পাচার ও মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের কাছে হস্তান্তর করেন বলে কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। – বিডিনিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!