ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | চট্টগ্রামে ট্রাভেল এজেন্সির ক্ষতি তিন হাজার কোটি টাকা

চট্টগ্রামে ট্রাভেল এজেন্সির ক্ষতি তিন হাজার কোটি টাকা

নিউজ ডেক্স : আকাশে বিমান উড়ে না। এতে পথে বসার উপক্রম চট্টগ্রামের ৩০০ ট্রাভেল এজেন্সির। গত দেড় বছরে তাদের ক্ষতি হয়েছে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। একই সাথে বেকার হয়েছে এ খাতে জড়িত প্রায় ৮ হাজার কর্মী। লোকসানের কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে অনেকগুলো ট্রাভেল এজেন্সি। করোনায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ এবং দেশের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল সীমিত করার কারণে এ সংকট তৈরি হয়েছে বলে দাবি এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) নেতৃবৃন্দের।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) এর চট্টগ্রাম অঞ্চলের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল কাসেম বলেন, ‘চট্টগ্রামে ৩০০ ট্রাভেল এজেন্সি রয়েছে। এ খাতে কর্মী রয়েছে প্রায় ৮ হাজার। করোনার কারণে বর্তমানে সবাই বেকার হয়ে পড়েছেন। আর্থিক কষ্টে তারা অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আটাব সূত্র জানায়, ২০২০ সালের মার্চ থেকে দেশের ট্রাভেল এজেন্সি খাতে লোকসান শুরু হয়। চীনের উহানে করোনাভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার পরপরই এ খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে থাকে। এরপর ধীরে ধীরে অন্যান্য দেশেও তা ছড়িয়ে পড়ে। তাতে একের পর এক ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করতে থাকে দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো। একই সাথে বাতিল হতে থাকে আগে থেকে নির্ধারিত ফ্লাইটগুলোও। এতে ব্যাপক লোকসানের শিকার হয় ট্রাভেল এজেন্সিগুলো। ট্রাভেল এজেন্সির মালিকরা জানায়, বিমান চলাচলের উপর নির্ভর করে ট্রাভেলস এজেন্সির ব্যবসা। আকাশে বিমান না থাকলে ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর ব্যবসা থাকে না। ব্যবসা না থাকলে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকা ছাড়া আর কোন কাজ নেই। এছাড়া করোনার পর দুটি হজ ও ওমরা মওসুম বন্ধ ছিল। এতে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির শিকার হয় এজেন্সিগুলো। বেকার হয়ে পড়ে কর্মীরা।

হজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শাখার চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘বিমান চলাচলের উপর ট্রাভেলস এজেন্সিগুলোর ব্যবসা নির্ভর করছে। করোনার কারণে গত দেড় বছরে দেশ-বিদেশের অধিকাংশ এয়ারলাইন্স তাদের বিমান চলাচল অধিকাংশ সময় বন্ধ রেখেছে। কয়েকটি এয়ারলাইন্স সীমিত পরিসরে বিমান চলাচল করলে নানা সীমাবদ্ধতার কারণে যাত্রী পাঠানো যাচ্ছে না। এ অবস্থায় ট্রাভেলস এজেন্সিগুলোর কোন কাজ নেই। সবাই হাত-পা গুটিয়ে বসে আছে। লোকসানের কারণে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে’।

আটাব চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাবেক সচিব মুজিবুল হক শুক্কুর বলেন, ‘করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী প্রায় সকল এয়ারলাইন্স ও ওমরা ভিসা বন্ধ থাকায় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর ব্যাপক ক্ষতির হচ্ছে। ট্রাভেল এজেন্সিগুলো মূলত রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রবাসীদের টিকেটিং সেবা, টুরিস্টদের সেবা, প্যাকেজ, ভিসা সার্ভিস, হোটেল বুকিং, হজ ও ওমরা যাত্রীদের সেবা দিয়ে থাকে। কিন্তু করোনায় এসব সেবা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ। এতে দেশে নিবন্ধিত ৫ হাজার ও অনিবন্ধিত আরো সহযোগি প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ১০ হাজার ট্রাভেল এজেন্সির লক্ষাধিক কর্মী চরম সংকটময় সময় অতিক্রম করছে। এমনকি এজেন্সি মালিকরা অফিস ভাড়া, বাসা ভাড়াসহ নানা খরচ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন’। -দৈনিক পূর্বকোণ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!