ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | ঘুমধূমে পাহাড় ধ্বসে হতাহতের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

ঘুমধূমে পাহাড় ধ্বসে হতাহতের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

Naikhongchari-Pic-23.05.2018
কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া : নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের মঞ্জয়পাড়ায় পাহাড় কাটতে গিয়ে মাটিচাপায় হতাহতের ঘটনায় বুধবার সকাল ১০ টায় পাহাড় ধ্বসে হতাহতের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। এসময় তিনি নিহত এবং আহত পরিবারের সদস্যদেরকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান করেন এবং মন্ত্রণালয় থেকেও প্রত্যেককে আরো ২৫ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা প্রদানে আশ^স্থ করেন। এছাড়া বান্দরবান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত পরিবারের সদস্যদের মাঝে ২৫ হাজার টাকা এবং আহত পরিবারের মাঝে ১৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
পরিদর্শন শেষে বেলা ১১টায় মনজয়পাড়া গ্রামে স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক আলমগীর হোসেন, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষীপদ দাশ, আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কাজল কান্তি দাশ, জেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সরওয়ার কামাল, নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর শেখ, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা খাইরুল বশর, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অধ্যাপক শফিউল্লাহ, সাধারন সম্পাদক মোঃ ইমরান মেম্বার, আওয়ামীলীগ নেতা আবু তাহের কোম্পানী, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী, বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলম, ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঘুমধুম ইউনিয়নের মনজয়পাড়া এলাকায় পাহাড় কাটার সময় মাটি চাপা পড়ে পাঁচ শ্রমিক নিখোঁজ হন। পরে স্থানীয়রা নুর মোহাম্মদ (২৫) নামে একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজারে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেন। ঘটনার সাত ঘন্টা পর সন্ধ্যায় নুরুল হাকিমকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হন পুলিশ, বিজিবি ও দমকলবাহিনীর সদস্যরা। দীর্ঘ উদ্ধার তৎপরতা শেষে রাত সাড়ে আটটায় বাকি তিন শ্রমিক- মো. আবু (৩০), সোনা মেহের (৩৫) ও জসীম উদ্দিনের (২৫) লাশ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় সুপায়েন বড়ুয়ার পরিবার অবৈধভাবে দখল করে পাহাড়টি কাটছিল। এই ঘটনায় প্রজেক্ট মালিক রাজেন্দ্র বড়–য়ার ছেলে সুপায়েন বড়ুয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ প্রধান ছৈয়দ আলম বাদি হয়ে মঙ্গলবার নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় দন্ডবিধি ৩০৪(ক)/১১৪ তথসহ ভূমি ইমারত আইনের ১২(১১) ধারায় মামলাটি রুজু করেন। মামলার বাকি তিনজন আসামি হলেন- সুপায়েন বড়–য়ার ভাই রিটন বড়ুয়া, ভুট্টো বড়ুয়া ও প্রতিয়া বড়ুয়া। তবে এ পর্যন্ত তাঁদের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি শেখ আলমগীর বলেন, মাটিচাপায় তিন শ্রমিক নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিরা ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!