ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | ‘এখনো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিরাপদ নয়’

‘এখনো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিরাপদ নয়’

নিউজ ডেক্স : বাংলাদেশ বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে গত বছর। ৫১ বছরে বাংলাদেশ। বিজয়ের এত বছরে কোথায় যাওয়ার কথা ছিল, কোথায় যেতে পারলো- এ প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

বাংলাদেশ সৃষ্টিকে এক বিস্ময় আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পৃথিবীতে এমন একটি ইতিহাস রচিত হয়, যা নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষদের সংগ্রামের জন্য এক বিরল ঘটনা। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে বিজয়। এমন বিজয় কয়টি দেশের আছে!

‘যদিও বাঙালির বিজয়কে খুব অল্প দিনের মধ্যেই ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের দোসররা ক্ষমতায় আসে। সেদিন থেকেই বাঙালির বিজয় হাতছাড়া হয়। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রবিরোধীরা সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা পায়। দীর্ঘ সময় পর ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা ক্ষমতায় এসে আবার একাত্তরের চেতনায় ফিরি। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে আবারও পাকিস্তানি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা পায়।’

‘এই সময় আমরা দেখেছি, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে নিঃশেষ করে দেওয়ার চেষ্টা চলে। চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানানো হলো। তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা দেওয়া হলো। এসময় আওয়ামী লীগের ওপর চালানো হলো সীমাহীন নির্যাতন।’

আওয়ামী লীগের লড়াই-সংগ্রামের প্রসঙ্গ তুলে তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে লালন করে আওয়ামী লীগ লড়াই-সংগ্রাম করে ২০০৮ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে। ৫১ বছরের বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থেকেছে। আপনি যদি সমাজ-রাজনীতি বিশ্লেষণ করেন, দেখবেন এখনো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিরাপদ নয়।’

‘বিজয়ের ডিসেম্বর মাসেও মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি জামায়াত ও তাদের পৃষ্ঠপোষক দল বিএনপি নানাভাবে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চাইছে। পাকিস্তানি কায়দায় তারা ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে আমাদের অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখাই বিজয়ের চেতনা। বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী মানুষেরা যেন এই বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পারেন।’

এই প্রশ্নে সরকার কতটুকু চ্যালেঞ্জ নিচ্ছে- জবাবে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই চ্যালেঞ্জ। তবে অতীতে আমরা সামাজিক-নৈতিক ও গণতান্ত্রিক পন্থায় এই অপশক্তিকে মোকাবিলা করেছি, আগামীতেও করতে পারবো। এই অপশক্তির অস্তিত্ব এক সময় বিপন্ন হবে। এদের অস্তিত্ব থাকা মানেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিরাপদ না। আমার বিশ্বাস, বাঙালি জাতি বিজয়ী জাতি। বাঙালি সব অপশক্তিকে মোকাবিলা করে এগিয়ে যাবে।’

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে একটি শক্তির উত্থান তো হয়েছে। আর দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে এই শক্তির বিপরীতে আমাদের রাজনীতি করতে হচ্ছে। এই গোষ্ঠী আর্থিক ও রাজনৈতিকভাবে সমাজে প্রভাব বিস্তার করে আছে, এটি তো অস্বীকার করার উপায় নেই। এদের প্রভাব কমানোর জন্য আমরা চেষ্টা করছি। আমরা চাই, মানুষের সমর্থন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিগুলো আরও বেগবান হোক। জাতিসত্তা গঠনের প্রশ্নে আওয়ামী লীগের বিকল্প হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক মাঠে সরব হোক’ যোগ করেন ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। -জাগো নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!