Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসন নিয়ে অনিশ্চয়তা

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসন নিয়ে অনিশ্চয়তা

FB_IMG_1508592483927
কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া : প্রতিদিন ৩শ করে হলে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরতে সময় লাগবে অন্তত ২৫ বছর।
তাই এই প্রত্যাবাসন শুরু হলেও শেষ নিয়ে শঙ্কা আছে স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের মনে। আবার এই প্রক্রিয়া ভণ্ডুল করতে কথিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার একটি হামলাই যথেষ্ট। অন্যদিকে, নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার ছাড়া ফিরতে চান না রোহিঙ্গারাও। নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা, ভিটে-মাটি ফিরে পাওয়া এবং হত্যা-ধর্ষণকারীদের বিচার এইসব অধিকারের নিশ্চয়তা ছাড়া মিয়ানমারে ফিরতে চাননা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। এসব বিষয়ে এখনো কিছুই জানায়নি দেশটি। আবার চুক্তি অনুযায়ী, কেউ যেতে না চাইলে তাকে জোরও করা যাবেনা।
ধরে নেয়া যাক, এসব বিষয়ে সমাধান আসবে এবং চুক্তি অনুযায়ী সপ্তাহে দেড় হাজার জনকে নেবে মিয়ানমার। এই হিসেবে বছরে ফিরতে পারবেন ৭৮ হাজার শরণার্থী। অর্থাৎ গত আগস্টের পর নতুন আসা ৬ লাখ ৮৮ হাজার জনের ফিরতে সময় লাগবে ৮ বছর ৮ মাস। আর নতুন পুরোনো মিলিয়ে ১১ লাখ শরণার্থীর সময় লাগবে ১৪ বছর। কিন্তু অঙ্কটা আরো জটিল করে দিয়েছে রোহিঙ্গাদের জন্ম হার। সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, শরণার্থী শিবিরে ২০১৮ সালে অর্থাৎ ১ বছরে জন্ম নেবে ৪৮ হাজার শিশু। পরের বছরগুলোতেও নিশ্চয় এটা অব্যহত থাকবে। অর্থাৎ যে কয়জন যাবে নবাগতরা এসে সেই শূণ্যতা অনেকটাই পূরণ করে ফেলবে। তাই পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই জন্ম মৃত্যু ও প্রত্যাবাসন যোগ-বিয়োগ করলে সব রোহিঙ্গার দেশে ফিরতে সময় লাগবে অন্তত ২৫ বছর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!