Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | ইরানকে হুমকি দেবেন না, ট্রাম্পকে রুহানি

ইরানকে হুমকি দেবেন না, ট্রাম্পকে রুহানি

092137trump-rouhani

আন্তর্জাতিক ডেক্স : ইরানকে কখনও হুমকি না দেওয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। এক টুইট বার্তায় রুহানি বলেন, ইরানি জনগণকে কখনও হুমকি দেবেন না। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় ইরানকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, দেশটির ৫২ স্থানে হামলা চালানো হবে। ট্রাম্পের ওই টুইটের জবাব দিয়েই তাকে সতর্ক করলেন রুহানি।

গত শুক্রবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডের অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

জেনারেল সোলেইমানি নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার ইরাকের মার্কিন দূতাবাসের কাছে এবং বাগদাদের গ্রিন জোনে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপরেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় ইরানকে হুমকি দেয় যে, তেহরান যদি কোনো আমেরিকান বা কোনো মার্কিন সম্পদে হামলা চালায় তবে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ৫২ স্থানে হামলা চালানো হবে।

অপরদিকে জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যার কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইরান। সোলেইমানির অনুসারীরা তার মৃত্যুর বদলা হিসেবে মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন সেনাদের বহিষ্কার করবে বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন।

সোমবার রাজধানী তেহরানে জেনারেল সোলেইমানির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশটির শীর্ষ এই জেনারেলের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তেহরানে সে সময় লাখো মানুষের ঢল নামে। সোলেইমানির মরদেহের প্রতি সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি (৮০) নিহত এই জেনারেলের জানাজা নামাজের নেতৃত্ব দেন। সে সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং তার গলা ধরে আসছিল। জেনারেল সোলেইমানির সঙ্গে বিপ্লবী গার্ডের আরও পাঁচ সদস্যেরও জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেনারেল সোলেইমানি (৬২) ইরানের একজন জাতীয় বীর। ইরানে আয়াতুল্লাহ খামেনির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি ছিলেন তিনি। তেহরানে জেনারেল সোলেইমানির জানাজায় জনসমুদ্র ১৯৮৯ সালের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। সে সময় ইরানে ইসলামিক রিপাবলিকের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ রুহোল্লাহ খোমেনির জানাজায় এক সঙ্গে এত মানুষকে জড়ো হতে দেখা গেছে। এরপর আর এত মানুষকে কোনো নেতার জানাজায় অংশ নিতে দেখা যায়নি।

জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে নতুন করে সংঘাতের সূচনা হবে এবং মধ্যপ্রাচ্যেও এর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইরানকে হুমকি দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ৫২ স্থানের হামলার প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ১৯৭৯ সালের নভেম্বরে তেহরানে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস থেকে ৫২ জন আমেরিকানকে জিম্মি করা হয়েছিল। তারা ৪৪৪ দিন বন্দি ছিলেন। ওই ৫২ জনের কথা স্মরণ করেই ইরানের ৫২ স্থানকে টার্গেট করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ট্রাম্পের ওই টুইটের জবাব দিয়ে রুহানি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, যারা ৫২ স্থানের কথা বলছেন তাদের ২৯০ সংখ্যাটাও মনে রাখা দরকার। ১৯৮৮ সালে একটি মার্কিন রণতরী থেকে ইরানি এয়ারলাইনের একটি বিমান গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। এতে ২৯০ জন নিহত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!