ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | আদালত চত্বরে কিছু বলার চেষ্টা মিন্নির, মুখ চেপে ধরল পুলিশ !

আদালত চত্বরে কিছু বলার চেষ্টা মিন্নির, মুখ চেপে ধরল পুলিশ !

image-201105-1563560395-800x450

নিউজ ডেক্স : বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার ১ নম্বর সাক্ষী এবং তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শুক্রবার বরগুনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিন্নি এ জবানবন্দি দেন।

তবে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেনের দাবি, নির্যাতন ও জোরজবরদস্তি করে তার মেয়ের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হয়েছে।

এদিকে জবানবন্দির পর আদালত থেকে বের করে ছোট পিকআপে তোলার সময় মিন্নি কিছু একটা বলার জন্য উদ্যত হয়েছিলেন। কিন্তু পাশে থাকা নারী পুলিশ সদস্য এ সময় তার মুখ চেপে ধরেন।

এদিন দুপুর ২টার দিকে আদালতে তোলা হয় মিন্নিকে। বিকাল ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি।

এর আগে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে বরগুনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গনে আসেন মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। সেখানে তিনি নির্যাতন ও জোরজবরদস্তি করে তার মেয়ের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন।

কিশোর অভিযোগ করেন, ভয়ভীতি দেখিয়ে তার মেয়ের কাছ থেকে সাজানো জবানবন্দি আদায় করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার মেয়ে কোনোভাবেই জড়িত নয়।

তিনি বলেন, ঢাকা থেকে আইনজীবীরা আসবে শুনে পুলিশ নির্যাতন করে তড়িঘড়ি আমার মেয়েকে দিয়ে মিথ্যা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করিয়েছে। হত্যাকাণ্ডের মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আমার মেয়েকে গ্রেফতার করে মামলায় জড়ানো হয়েছে। এখন আবার তাকে দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও রেকর্ড করানো হলো। এর মাধ্যমে প্রকৃত সত্যকে আড়াল করার চেষ্টা হয়েছে।

মিন্নির বাবা আরও বলেন, আমি আইনি লড়াই করে সত্যটা বের করব ইনশাল্লাহ। আমার মেয়ে জীবন বাজি রেখে তার স্বামীকে রক্ষা করতে গেছে। এটাই তার অপরাধ? এসব কিছুই শম্ভু বাবুর (স্থানীয় সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু) খেলা। তার ছেলে সুনাম দেবনাথকে সেভ করার জন্য আমাদের বলি দেয়া হচ্ছে।

এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, পাঁচ দিনের জন্য হেফাজতে নেওয়া হলেও মিন্নির কাছে আমাদের যা জানার ছিল, তা জানা হয়ে গেছে। তাই শুক্রবারই তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে মিন্নি কী বলেছেন সে সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলেও দাবি ওসি হুমায়ুনের।

গত ২৬ জুন রিফাতকে প্রকাশ্য সড়কে কুপিয়ে হত্যার সময় স্বামীকে বাঁচাতে মিন্নির চেষ্টার ভিডিও ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ঘটনাটি সারাদেশে আলোচনায় উঠে আসে।

পরদিন শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফের বাবা দুলাল শরীফ ১২ জনকে আসামি করে যে মামলাটি করেন, তাতে প্রধান সাক্ষী করা হয় মিন্নিকেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!