Home | ব্রেকিং নিউজ | লোহাগাড়ার পদুয়া-নাওঘাটা সড়কের বেহাল দশা

লোহাগাড়ার পদুয়া-নাওঘাটা সড়কের বেহাল দশা

489

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া বাজার হতে নাওঘাটা সড়কটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কে সৃষ্টি হওয়া ছোট ছোট খানাখন্দগুলো এখন বড় বড় গর্তে পরিণত হচ্ছে। ফলে যানবাহন চলাচলে চরম ব্যাঘাত ঘটছে। এতে করে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারীরা। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত পথচারী ও নানা শ্রেণীর যানবাহন চলাচল করে।

জানা যায়, সড়কটি সোজা পূর্বদিকে নাওঘাটা হয়ে দক্ষিণ দিকে দুর্গম এলাকা আঁধার মানিক এবং হাঙ্গর ব্রীজ পেরিয়ে পূর্বদিকে ধলিবিলার সর্বশেষ পূর্ব সীমানা পার্বত্য জেলার বনভূমির সাথে সংযুক্ত হয়েছে।

নাওঘাটা এলাকার বাসিন্দা হামিদ হোসেন জানান, এ সড়ক দিয়ে দিন-রাত হালকা, ক্ষুদ্র ও ভারী যানবহান যাতায়াত করে। যার ফলে বড় বড় গর্ত ও খানা-খন্দকেভরা সড়কটির যাতায়াত ব্যবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। সড়কটির মূল অংশ পদুয়া- নাওঘাটা পর্যন্ত যাতায়াতে বেহাল দশা। গর্ভবতী মহিলা মুমুর্ষ রোগী চিকিৎসাকেন্দ্রে আনা-নেয়া বড়ই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাত্রীবাহী ও মালামাল ভর্তি যানবাহন যাতায়াত ও ঝুঁকিপূর্ণ।

সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী সিএনজি অটোরিকশাচালক আনোয়ার হোসেন জানান, প্রতিদিন তাদের ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সড়কে অনেক খানাখন্দ থাকার কারণে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, অনেক সময় গর্তের মধ্যে সিএনজি উল্টে দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনায় আহতও হয়েছে।

ট্রাক চালক হায়দার আলী জানান, এ সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হলেও সংষ্কারের কোনও ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে চালকরা সবসময় ঝুঁকির মধ্যে গাড়ি চালিয়ে আসছেন। সড়ক ভালো না হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহণের খরচও স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যাচ্ছে। এতে গ্রামীণ এলাকার ক্রেতারা আর্থিক হয়রানীর সম্মুখীন হচ্ছেন।তিনি আরো বলেন, বৃষ্টির সময় গর্তগুলো বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে থাকে। এতে করে গাড়ি উল্টে অনেক দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটলেও রাস্তা সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেয়া হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানান তিনি।

নাওঘাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বেলাল জানান, পদুয়া বাজার থেকে নাওঘাটা পর্যন্ত ইট সলিংযুক্ত সড়কের বেহাল দশায় তাঁরা যাতায়াতে দূর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসারাগামী শিক্ষার্থীরাও দূর্ভোগে পড়ছে। তাই সড়কটি সংস্কার অতীব জরুরী বলে মনে করেন তিনি। আঁধার মানিক উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রেজাউল করিমও সড়কটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।

পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জহির উদ্দিন জানান, পদুয়া বাজার হতে নাওঘাটা পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা শোচনীয়। বড় বড় গর্ত ও খানা-খন্দকে ভরা ইটসলিংযুক্ত সড়কের বেহাল দশায় বর্তমানে যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যানবাহন চলাচল করছে বিপদের ঝুঁকি নিয়ে। তা’ই তিনি মোরামতসহ সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!