ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | যে কারণে বিলম্ব হচ্ছে ওসি প্রদীপদের রিমান্ডে নিতে

যে কারণে বিলম্ব হচ্ছে ওসি প্রদীপদের রিমান্ডে নিতে

নিউজ ডেক্স : পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ তিন অভিযুক্তকে রিমান্ডে পেলেও এখনো জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতে পারেনি র‌্যাব। মামলার আলামত এখনো হাতে না পাওয়া এবং সাক্ষী সিফাত-শিপ্রা দেবনাথের জামিনের অপেক্ষার কারণে রিমান্ড কার্যকরে বিলম্ব হচ্ছে। ইতিমধ্যে দুজনই জামিনে মুক্ত হয়েছেন। এবার দুই সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযুক্ত তিনজনকে রিমান্ডে নেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে র‌্যাব সূত্র।

আদালতের নির্দেশনা মতে, চার আসামির জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলেও মূল অভিযুক্ত তিনজনকে গত চার দিনেও রিমান্ডে নেয়া যায়নি। রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মামলার এক নম্বর আসামি বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলী, দুই নম্বর আসামি টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তিন নম্বর আসামি পুলিশের সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত। বৃহস্পতিবার তাদের প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

পাশাপাশি পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন বিচারক। সেই জিজ্ঞাসাবাদ আজ সোমবার শেষ হয়েছে। এদিকে এই চার অভিযুক্তকে নতুন করে দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, মেজর সিনহার বোনের করা মামলায় সাতজনকে অভিযুক্ত করা হয়। মামলায় অন্যতম সাক্ষী হিসেবে সিনহার সঙ্গী সিফাত ও শিপ্রাকে দেখানো হয়। ঘটনার পর পুলিশের মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়। গতকাল এবং আজ দুজন সাক্ষীর জামিন হওয়ায় রিমান্ড আবেদন দ্রুতই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হবে।

গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর অব. সিনহা রাশেদ খান। ঘটনাটি দেশ-বিদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করে।

বুধবার রাত ১০টায় টেকনাফ থানায় আদালতের নির্দেশে মেজর সিনহার বড় বোনের করা হত্যা মামলাটি নথিভুক্ত হয়। ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ টেকনাফের বিচারক তামান্না ফারহার আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন সিনহার বোন শারমিন। পরে আদালত ৩০২/২০১ ও ৩৪ ধারায় করা ফৌজদারি আবেদন টেকনাফ থানাকে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। এছাড়া বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার তদন্তভার কক্সবাজারের র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ককে দিতে সুপারিশ করা হয়।

মামলায় পরিদর্শক লিয়াকত, ওসি প্রদীপসহ নয় পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়। মামলায় সাতজন আত্মসমর্পণ করলেও বাকি দুজনকে পাওয়া যায়নি।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘দুজন সাক্ষীর জামিন হয়েছে এবং মামলার আলামত নিয়ে র‌্যাব অভিযুক্ত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তদন্ত কর্মকর্তা মনে করছে সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরুর পরই অভিযুক্ত তিনজনকে হেফাজতে নেবে।’ পূর্বপশ্চিমবিডি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!