Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | বৃহস্পতির চাঁদ থেকে সংকেত, প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে জল্পনা!

বৃহস্পতির চাঁদ থেকে সংকেত, প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে জল্পনা!

আন্তর্জাতিক ডেক্স : এবার বৃহস্পতির চাঁদ গ্যানিমেডে রেডিও সিগন্যাল অনুভূত হয়েছে। সম্প্রতি সেই তরঙ্গ চিহ্নিত করেছে নাসার একটি স্পেসক্রাফ্ট। সাধারণত রেডিও তরঙ্গ বা এফএম সিগন্যাল কোনও জীব থাকার ইঙ্গিত বা যোগাযোগের বিষয়টিকে তুলে ধরে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতির চাঁদে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি। বৃহস্পতির কোনও প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার জেরেই এই রেডিও তরঙ্গের উৎপত্তি।

নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জুনো নামের এক স্পেসক্রাফটে ধরা পড়েছে এই এফএম রেডিও সিগন্যাল। বৃহস্পতির কক্ষপথ ধরেই প্রদক্ষিণ করছিল মহাকাশযানটি। এমন সময়ে বৃহস্পতির চাঁদ গ্যানিমেড থেকে তরঙ্গের বিষয়টি অনুধাবন করতে সক্ষম হয় জুনো। উল্লেখ্য, বৃহস্পতির ৭৯টি চাঁদের মধ্যে অন্যতম হলো গ্যানিমেড। এর আগে কখনও এই চাঁদ থেকে কোনও রকম তরঙ্গ বা এফএম সিগন্যাল ধরা পড়েনি। তাই ক্রমেই এ নিয়ে জল্পনা বাড়ছেই।

মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কথায়, মূলত ইলেকট্রন থেকে এ ধরনের তরঙ্গ বা সিগন্যাল সৃষ্টি হয়। এই গ্রহে হয়তো কোনও প্রাকৃতিক পরিবর্তন ঘটছে। তা থেকেই এমন তরঙ্গের সৃষ্টি হয়েছে। এক্ষেত্রে সাইক্লোট্রন ম্যাসার ইনস্ট্যাবিলিটি নামে এক ধরনের প্রক্রিয়ার প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। সাধারণত কোনও তড়িৎচুম্বকীয় ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রক্রিয়া ঘটে থাকে। এতে ইলেকট্রনের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়। আর আশপাশের এলাকায় একটি ফ্রিকোয়েন্সি অনুভূত হয়। জুনো সেই ফ্রিকোয়েন্সি ধরতে সক্ষম হয়েছে।

২০১১ সালে নিউ ফ্রন্টিয়ার্রস প্রোগ্রামের অধীনে মহাকাশে জুনো মহাকাশ যানটিকে পাঠিয়েছিল নাসা। এই প্রোগ্রামের অধীনে একাধিক মিশন ছিল। প্রোগ্রামের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল, সম্পূর্ণ সৌরজগতে অভিযান চালানো এবং বিভিন্ন গ্রহের বিষয়ে তথ্য জানা। এককথায় বলতে গেলে আমাদের সৌরমণ্ডল সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করতেই এই প্রোগ্রামের সূচনা।

ওই প্রোগ্রামের অধীনেই জুনো বৃহস্পতির কক্ষপথের দিকে এগিয়ে যায়। বৃহস্পতির ওপর নজরদারি চালাতে শুরু করে যানটি। কিভাবে এই বৃহস্পতি তৈরি হয়েছে, কিভাবে তা বর্তমান রূপে এলো এমন একাধিক বিষয় ধীরে ধীরে জানার চেষ্টা করা হয়। ২০১৬ সালে বৃহস্পতির কক্ষপথে প্রবেশ করে জুনো।

মহাকাশ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই স্পেসক্রাফটের মধ্যে এমন কিছু আর্ট টেকনোলজি রয়েছে, যা বৃহস্পতির অভিকর্ষ টান, তড়িৎ-চুম্বকীয় ক্ষেত্র, বৃহস্পতির ভূপৃষ্ঠের নানা উপদানসহ একাধিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম।

আগামী দিনে গ্যানিমেড থেকে পাওয়া তরঙ্গ নিয়ে আরও কাজ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। হয়তো এ থেকেই ভৌতবিজ্ঞানের আরও নানা দিকের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!