এলনিউজ২৪ডটকম: লোহাগাড়ায় দরবেশহাট ডিসি সড়কে বৃষ্টি হলেই জমে যায় হাঁটু পরিমাণ পানি। সদর ইউনিয়নের ১ নাম্বার ওয়ার্ডের জোনাবির পাড়া এলাকায় দুই পাশে অপরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ ও পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সড়কে এই পানি জমে যাচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীদের।
জানা যায়, দরবেশহাট ডিসি সড়ক উপজেলা সদর বটতলী স্টেশনস্থ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক থেকে শুরু হয়ে পার্বত্য লামা উপজেলার কেয়াজুপাড়া পর্যন্ত বিস্তৃত। এই সড়ক দিয়ে উপজেলার কলাউজান, পুটিবিলা, চুনতি, আমিরাবাদ ও সদর ইউনিয়নহ পার্বত্য এলাকার প্রতিদিন কয়েক হাজার লোকজন যাতায়াত করেন। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের উপজেলা সদর এলাকায় বৃষ্টি হলেই জমে যায় হাঁটু পরিমাণ পানি।

রোববার (১ জুন) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, ব্যস্ততম দরবেশহাট ডিসি সড়কের উপজেলা সদর এলাকায় দুই পাশে নির্মাণ করা হয়েছে অপরিকল্পিত ভবন। সড়কের এক পাশে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন থাকলেও অন্যপাশে নেই। যেই পাশে ড্রেন রয়েছে ময়লা জমে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে পনি নিষ্কাশন হতে পারে না। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে জমে যায় হাঁটু পরিমাণ পানি। যার ফলে শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের চলাচলে সড়কে জমে থাকা পানি ছিটকে পড়ে নষ্ট হচ্ছে কাপড়-চোপড়।
শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ উদ্দিন জানান, সড়কে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সড়কে জমে থাকা পানি ছিটকে পড়ে ড্রেস নোংরা হয়ে যায়। উক্ত সড়কে পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
সিএনজি অটোরিকশা চালক এরফানুল করিম জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে জমে যায় হাঁটু পরিমাণ পানি। দেখে বুঝার উপয় নেই সড়ক নাকি খাল। বৃষ্টির পানি জমে থাকলে গাড়ি চালাতে সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। প্রায়ই ইঞ্জিনে পানি প্রবেশ গাড়ি বিকল হয়ে যায়। ফয়ে যাত্রী চলাচলে নানা বিড়ম্বনা গেলেই থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দা আলাউদ্দিন জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে জমে যায় পানি। বৃষ্টির পানি জমে রাস্তায় হাঁটার অবস্থা থাকে না। যার ফলে ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। তাছাড়া সড়ক দিয়ে শত শত মুসল্লি যাতায়াত করে। জরুরি ভিত্তিতে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা চালু করতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করছি।
লোহাগাড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নাম্বার ওয়ার্ডের সদস্য জাফর আহমেদ জানান, সড়কের এক পাশে ড্রেন রয়েছে। কিন্তু কয়েকজন প্রভাবশালী ভবন মালিক ড্রেন দিয়ে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। তাদেরকে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে একাধিকবারও বলা হয়েছে। কিন্তু কর্ণপাত করেননি। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশন হতে না পেরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। ওই ভবন মালিকদের কাছে পুণরায় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে নোটিশ পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।