নিউজ ডেক্স : দুস্থ সাংবাদিক পরিচয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে অনুদানের চেক নিয়েছেন জামায়াত নেতা সাদাত উল্লাহ। এমনটিই জানিয়েছেন বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদেক হোসেন চৌধুরী। আজ ৮ নভেম্বর শুক্রবার এক বিবৃতির মাধ্যমে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এ তথ্য জানান তিনি। এ নিয়ে নানা বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
লিখিত বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, দুস্থ সাংবাদিকতার পরিচয়ের আড়ালে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চিহ্নিত জামায়াতের শিবির ক্যাডার চরম্বা ইউনিয়নে জামায়াত থেকে নির্বাচিত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাদাত উল্লাহ গণভবনে প্রবেশ এবং খোদ প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে অনুদান গ্রহণের মতো সুযোগ পাওয়ার ঘটনায় আমরা বিস্মিত ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এর আগেও প্রতারক হিসেবে চিহ্নিত সাদাত উল্লাহ তার জামায়াতের পরিচয় গোপন রেখে সাংবাদিক পরিচয়ে প্রধানমন্ত্রীর বহরে সফরসঙ্গী হয়ে বিদেশ ঘুরে এসে আলোচনার জন্ম দেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চিহ্নিত এ জামায়াত নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কীভাবে একজন দুস্থ সাংবাদিক হিসেবে অনুদানের তালিকায় স্থান পেয়েছে আর এর সুবাধে গণভবনে প্রবেশ করে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে অনুদান গ্রহণের সুযোগ পেল? কে বা কারা এ ঘটনায় জড়িত তা তদন্ত পূর্বক চিহ্নিত ও দোষীদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, জামায়াতে ইসলামীর ‘ডোনার’ সাদাত উল্লাহ দুস্থ সাংবাদিক হিসেবে দুই লাখ টাকার অনুদান পান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার হাতে এ অনুদান তুলে দেন। সাদাত উল্লাহ দৈনিক ইনকিলাবের সাংবাদিক হিসেবে ওই অনুদান পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক সাদাত উল্লাহ জানান, আমাকে যাচাই-বাচাই করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুদানের চেক প্রদান করেছেন। তিনি পূর্বে এবং অদ্যবধি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সংশ্লিষ্ট না। একটি মহল তার কর্মকান্ডে ঈশ্বার্নিত হয়ে এ অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি আরো জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।