______ফিরোজা সামাদ______
এককালে এক যুগ ছিলো
অাইয়্যামে জাহেলিয়াত,
জীবন্ত কবর দিতো জন্মিলে
কন্যা শিশুজাত !!
নারীকে পুরুষ ভোগের বস্তু
ভাবতো অহর্নিশ
মহানবী উপরে ফেললেন সেই
গাছটি বৃক্ষবিষ !!
নারীকে দিলেন শ্রেষ্ঠ সম্মান
বেঁচে থাকার অধিকার,
কালক্রমে সেই ধর্মের নীতি
হলো যে বহিস্কার !!
ধর্মকে বিকলাঙ্গ করে পুরুষ
নারীকে করে ভোগপন্য,
দাসী বানিয়ে বেচাকেনা শুরু
এতো অতি নগন্য !!
দাসি উপপত্নী রক্ষিতা নামে
চালায় যৌননিপীড়ন,
অবৈধ কাজের বৈধতা দেয়
তৎকালীন পুরুষগণ !!
ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব নারী
চলতো পর্দা নিয়ে,
তখনো পুরুষ করেনি সম্মান
স্নেহ মমতা দিয়ে !!
নিজেদের স্বার্থে বন্দিনী করে
তাদের রাখতো অন্তপূরে ,
পর রমনীকে সঙ্গীনি করে
যেতো দেশান্তরে !!
ইতিহাস বলে নারীর অঙ্গকে
বেষ্টনীবদ্ধ করে,
লিপ্ত হতো যত্রতত্র ইচ্ছেমতো
যৌন ব্যভিচারে !!
একজনে কভু তুষ্ট না হয়ে
রাখতো যে অগুণতি,
ব্যভিচারের স্বার্থে ধর্মের দোহে
চলতো ওদের বেসাতি !!
অাপন লজ্জা বিলাতো পুরুষ
বেহায়া নির্লজ্জের মতো,
একঝাক নারী জাহাজে লইয়া
বানিজ্য সফরে যেতো !!
নিজ স্ত্রীকে করতো সন্দেহ
অঙ্গে মোহর মেরে,
দূর পরবাসে যেতো পুরুষ
অন্য নারীর তরে !!
ইতিহাস বলে অতিথি এলে
নারী হতো উপঢৌকন,
ফুর্তি অামদ সবই করতো
অারো তহুরা শরাবন !!
পরাধীন ছিলো নারী সমাজ
শৃঙ্খলে ছিলো বন্দিনী,
স্বাধীনতার স্বাদ নেবার তরে
হলো তারা উম্মাদিনী !!
নারী স্বাধীতনা নারী সম্মান
ভাবলো পুরুষ অপমান,
কৌশলে নারীর স্বাধীতনা দিয়ে
অপহরণ করে সম্মান !!
মঞ্চে দাড়িয়ে পুরুষ বলে যায়
নারী প্রগতির বানী,
রাতের অাঁধারে সেই নারীর
করে ইজ্জতের হানি !!
প্রতিশোধ নিচ্ছে পুরুষজাতি
নারী স্বাধীনতার তরে,
নারী যে অবলা ছলনায় ভুলে
পড়ে ফাঁদে বারে বারে !!
হে নারী তুমি নারী থেকোনা
হওনা এবার মানুষ,
তোমার দেহকে সযত্নে রেখো
থেকোনা হয়ে বেহুঁশ !!
বোরকা দিয়ে শরীর ঢেকে
যাচ্ছো কেনো হেথায় ?
যেথায় গেলে অাব্রু তোমার
সীমারে খুলে নেয় ?
অার থেকোনা নারী হয়ে
বলছি বারংবার,
বিবেক তোমার জাগ্রত করো
মানুষ হও এবার !!
তোমার অামার সম্মান এখন
অামাদেরকে রুখতে হবে,
নীতি বিবেক অাত্মসম্মানে
মানুষ হবে যবে !!
দোষ দিওনা পুরুষ জাতকে
ওরা ছিলোনা কভু বন্ধু,
নারীর নারীত্ব ছিনিয়ে বানায়
কলঙ্কের বিষাদসিন্ধু !!
