নিউজ ডেক্স : কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা সীমান্তে নাফ নদীতে ফের রোহিঙ্গাবাহী নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নারী-শিশুসহ ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন বাংলাদেশি উদ্ধারকারীরা। আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশমুখী এসব মানুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে এখনও তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। এর আগে রাতে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচর এলাকায় উত্তাল সাগরে প্রবল ঢেউয়ের ধাক্কায় এ নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম আরিফুল ইসলাম জানান, বিজিবির সদস্যরা রাত ১১টা পর্যন্ত আটজনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন। আর নারী-শিশুসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধার হওয়াদের দাবি, এখনো অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। স্থানীয় ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফজলুল হক জানান, ভোর থেকে জালিয়াপাড়ায় নদী থেকে তিন মেয়ে শিশু, দুই ছেলে শিশু, ৬০ বছরের এক নারী এবং ১০ বছর বয়সী এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি মরদেহগুলো উদ্ধার হয়েছে গোলারচর এলাকা থেকে। এর মধ্যে সত্তরোর্ধ্ব এক ব্যক্তি রয়েছেন, আর বাকি চারজন ছেলে শিশু।
তিনি জানান, রাতে বাংলাদেশি নৌকায় করে এসব মানুষ নাইক্ষ্যং দ্বীপ থেকে ৬০ জনের মতো যাত্রী নিয়ে শাহপরীর দ্বীপে আসছিলেন। কিন্তু প্রবল ঢেউয়ের মধ্যে নদীর গোলারচরে একটি ডুবোচরে নৌকাটি আটকে যায়। তখন প্রবল ঝোড়ো হাওয়ায় তীব্র ঢেউয়ে নৌকাটি উল্টে গেলে সবাইকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ফজলুল হক। এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই কোস্ট গার্ড ও বিজিবি এবং স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় উদ্ধার অভিযান চলছে। দুর্ঘটনার সময় সাগরে ভাটা থাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম আরিফুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত নারী-শিশুসহ ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। জীবিত উদ্ধার হয়েছে ১২ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু। তবে এখনো অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন দাবি করেছেন উদ্ধার হওয়াদের নৌকার যাত্রীরা। এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর টেকনাফের উখিয়ার ইনানী সৈকতের কাছে সাগরে রোহিঙ্গাবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় ২০ জনের প্রণহানি ঘটে। -কালের কণ্ঠ