Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | নগরীতে কোন্দলে বাড়ছে খুনের ঘটনা

নগরীতে কোন্দলে বাড়ছে খুনের ঘটনা

khun

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম মহানগরীতে গত দুই বছরেরও বেশি সময়ে একাধিক হত্যাকাণ্ড, মারামারি, টেন্ডারবাজি ও চাঁদবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনা ঘটেছে। এসব অপরাধে জড়িতদের বেশিরভাগই বিভিন্ন সময়ে নিজেকে ক্ষমতাসীন দল বা অঙ্গ সংগঠনের কর্মী বলে পরিচয় দিয়েছেন। কেউ কেউ সরাসরি রাজনৈতিক কর্মী, কেউ বা আবার দলীয় নেতার ‘ছত্রছায়ায়’ থাকেন বলেও অভিযোগ আছে। বিভিন্ন সময়ে দলীয় সভা–সমাবেশ বা মিছিল–মিটিংয়েও তাদের অনেককে দেখা গেছে। এদের কেউ কেউ আবার নিজেকে দলীয় কর্মী পরিচয়ে ‘ব্যানার–পোস্টার’ও টাঙিয়েছেন বিভিন্ন সময়ে। অবশ্য বড় ধরনের কোনো অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর তার দায় বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন দলের শীর্ষ নেতারা। সর্বশেষ গত ২৬ মার্চ দক্ষিণ মধ্যম হালিশহরে যুবলীগ কর্মী মহিউদ্দিনকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত হাজী ইকবাল নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় দিতেন। কিন্তু এখন নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বলছেন, ‘হাজী ইকবাল আওয়ামী লীগের কেউ নন।’

শুধু মহিউদ্দিন হত্যাকাণ্ড না। গত দুই বছরেরও বিভিন্ন সময়ে নগরীতে সংঘটিত বেশ কিছু হত্যাকাণ্ডে নাম এসেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ বা অন্য অঙ্গসংগঠনগুলোর। এইক্ষেত্রে বেশিরভাগ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে ঘিরে। একই সময়ে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সংঘর্ষের ঘটনার পেছনেও ছিল অভ্যন্তরীণ কোন্দল। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের চেয়ে নিজ দলের কর্মী–সমর্থকদের পারস্পরিক এ দ্বন্দ্ব–সংঘাতের কারণ হিসাবে সংশ্লিষ্ট অনেকেই বলছেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে দল ক্ষমতায় থাকায় স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সেই ক্ষমতাকে সাইনবোর্ড হিসাবে ব্যবহার করে নিজের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছেন। এছাড়া নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার ছাড়াও টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি নিয়েই মূলত এসব দ্বন্দ্ব বলে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে সংবাদ বের হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আবার আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী প্রমাণে ব্যবহার করেন তাদের অনুসারী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের। অভিযোগ আছে, বিভিন্ন সময়ে থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ হলেও আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রায় বিব্রতবোধ করে পুলিশ প্রশাসন।

দলের শীর্ষ নেতারা যা বললেন : চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘মহিউদ্দিনের ঘটনাটা প্রকাশ্যে হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের কক্ষেই হয়েছে। তিনি দেখেছেন। পাশের বাড়ির সিসিটিভি আছে। এগুলো পর্যালোচনা করলেও বুঝা যাবে কারা করেছে, এটা অনেকটা স্পষ্ট। অন্য হত্যাকাণ্ডের (সুদীপ্ত) বিষয়টিও স্পষ্ট। ইতোমধ্যে অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। সেটাও স্পষ্ট হয়েছে।’ সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আ.জ.ম নাছির বলেন, ‘আসলে কে করেছে সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। যারা অভিযুক্ত হচ্ছেন বা যে অভিযোগ সেটার সত্যতা কতটুকু। অভিযুক্ত ব্যক্তি রাজনীতি করে কী না, কার সঙ্গে করে– সেটা বিবেচ্য বিষয় হতে পারে না। সে অপরাধ করেছে, সেটাই বড়। ‘অপরাধীই’ তার একমাত্র পরিচয়! দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী অপরাধী হিসেবে তার শাস্তি পাওয়াটা বা নিশ্চিত হওয়াটাই আমাদের কাম্য। পার্টির নাম কেন আসবে? পার্টি তো হাজার–হাজার, লক্ষ–লক্ষ জন করছেন। এমনকি যাদের পদ–পদবী নাই তারাও তো মিছিল সমাবেশে আসেন। আসলে ‘রাজনৈতিক কালার’ লাগিয়ে অপরাধীকে বরং আড়াল করা হয়। আমি মনে করি, রাজনৈতিক কালারকে হাইলাইট না করে অপরাধকেই প্রাধান্য দেয়া উচিত।’

জানতে চাইলে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ–সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘মহিউদ্দিন হত্যায় অভিযুক্ত তো আওয়ামী লীগের কেউ না। তার তো কোনো পদ নেই। অনেক আগেই দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। থানা আওয়ামী লীগে ছিল, সেখান থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।’ গত কয়েক বছর ধরে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নাম চলে আসে? বিষয়টি কিভাবে দেখেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দল করতে পারেন। সাংগঠনিক কার্যক্রমে অসুবিধা করলে তার দায় দল নিবে, কিন্তু ব্যক্তিগত অপরাধের দায় দল কেন নিবে?’ এখন দলীয় চাপের কারণে যদি আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারে সেটা বলুক।’

মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, ‘যদি আমাদের সংগঠনের ফ্রেমের ভেতরে দায়িত্বশীল কেউ থাকেন এবং তিনি যদি অপরাধ করেন তাহলে এক্ষেত্রে আমাদের কিছু বলার বা করার সুযোগ আছে। যখন কেউ দলের নাম বিক্রি করেন, কোথায় কোন পথে বা কোন ঘাটে বিক্রি করছেন তা আমাদের জানা থাকে না। মাঝেমধ্যে আপনারা যখন বলেন ‘অমুক যুবলীগের নাম বিক্রি করছেন’ তখন সার্চ দিয়ে দেখি। যদি না থাকে তখন আমরা বলি, ‘ওই নামে কোনো যুবলীগ নেতা নাই।’ যখন সে নাম বিক্রি করে তখন আমাদের কিছু করার থাকে না। সাধারণ আইনের আওতায় যেতে পারে। পুলিশ এই ক্ষেত্রে অনৈতিক কাজ করার দায়ে, ‘রং ইনফরমেশন’ দিয়ে সুবিধা নেয়ার অপরাধে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে। আমাদের আইনি ভূমিকা রাখার সুযোগ নেই, রাখলে সেটি বেআইনি হয়ে যাবে। যেহেতু আইন প্রয়োগের দায়িত্ব আমাদের না।’ সংগঠনের নাম যখন চলে আসে তখন বিষয়টি বিব্রতকর কী না এমন প্রশ্নে মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা তো বিব্রত হচ্ছি। কারো দ্বারা আমি বা আমার সংগঠন যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেক্ষেত্রে আমার কাজ হচ্ছে আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলা। এই ক্ষেত্রে আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেটা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।’

মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি বলেন, ‘আমরা কেউ চাই না সংগঠনের নাম খারাপ হোক। সেজন্য নগর ছাত্রলীগ মারামারি–টেন্ডারবাজিতে নেই! আমরাও চাই অপরাধীর শাস্তি হোক। কিন্তু অনেক সময় অপরাধীকে শাস্তি দেয়ার জন্য যখন পুলিশ ব্যবস্থা নেয় তখন আমাদের কেউ কেউ আবার তাদের বাঁচাতে তদবির করি বা করেন। সেটা প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে। এইক্ষেত্রে অনেক সময় পুলিশ অসহায়ত্বের কথা বলে। কিন্তু কেন? সেই জায়গা থেকে বলব, যারা তদবির করেন তারাই দায়ী। এখন কারা তদবির করেন সেই তথ্য নিশ্চয়ই পুলিশের কাছে আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কিন্তু অপরাধী যে হোক তার শাস্তি নিশ্চিত করেন। বর্তমানেও একজন এমপি জেলে আছেন। দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত আরেকজন জামিনে বের হয়েছেন।

গত কয়েক বছরে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনাগুলো : এ ধরনের বিভিন্ন ঘটনার খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেছে, মহিউদ্দিন হত্যার আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নগরীর দুই নম্বর গেইট ষোলশহরে পুলিশের চেকপোস্টে গুলি করেছিল একদল দুর্বৃত্ত। এতে আহত হন আবদুল মালেক নামে পুলিশের একজন এএসআই। ওই ঘটনায় জড়িত ১০ জনের আশ্রয়দাতা ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্র সংসদের এক নেতার অনুসারী। এছাড়া গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দুই গ্রপের সংঘর্ষের কারণে পণ্ড হয়েছিল উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি নগরীর জামালখান আইডিয়াল স্কুলের সামনে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয় কলেজিয়াট স্কুলের ছাত্র আদনান ইসফারকে। ওই হত্যাকাণ্ডের আদনানের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়েছিল হামলাকারীরা। অস্ত্রটি সরবরাহ করেছিল মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের এক নেতা। ঘটনার পরদিন রাতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৫ কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এই কিশোরদের আশ্রয়দাতা হিসেবে চন্দনপুরা এলাকার জনৈক আওয়ামী লীগ নেতা রউফের নাম এসেছে।

২০১৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজার আমতল এলাকায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ইয়াছিন আরাফাত নামে একজন মারা যান। ওই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আরো দু’জন। ২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর নগরীর কদমতলীতে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হন যুবদল নেতা ও পরিবহন ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ চৌধুরী। ঘটনার পরপরই অভিযোগ ওঠে, সিআরবি জোড়া খুন মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতার অনুসারিরা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত।

২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সদরঘাটের দক্ষিণ নালাপাড়া বাসার সামনে পিটিয়ে হত্যা করা হয় নগর ছাত্রলীগের সহ–সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতার অনুসারী হিসেবে পরিচিত। ওই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি নগরীর বাকলিয়ায় স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা তানজিরুলকে গুলি করে প্রতিপক্ষের কর্মীরা। এর আগে ২৫ জানুয়ারি সকালে নগরীর চেরাগীর মোড়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের একপক্ষ অপর পক্ষকে নিজেদের শক্তিমত্তা দেখাতে গিয়ে আশপাশের দোকানপাট ও গাড়ি ভাঙচুর করে। এসময় সৌন্দর্য বর্ধনের অংশ হিসেবে রাস্তার আইল্যান্ডের উপর লাগানো গাছের টবগুলোও ভাংচুর করা হয়।

২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ২ নম্বর গেট এলাকার নিজ বাসা থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ–সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক পক্ষের নেতাকর্মীরা বলছেন, দিয়াজকে হত্যা করে আত্মহত্যা হিসেবে প্রচার করার জন্য লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এইচএম সোহেল এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে আড়াই বছর আগে বহিষ্কৃত সাইফুল ইসলাম লিমনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের বিদায় অনুষ্ঠানের কর্তৃত্ব নিয়ে সৃষ্ট নিজেদের মধ্যকার সংঘর্ষে ২০১৬ সালের ২৯ মার্চ খুন হন নগর ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নাছিম আহমেদ সোহেল। এর আগে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর খুন হন পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান বাদল। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য নিহতের পরিবার সেদিন গণমাধ্যমের কাছে একই দলের কয়েকজনকে অভিযুক্ত করেছিলেন।

নগরীর সিআরবিতে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ–অর্থ বিষয়ক সম্পদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর এবং বহিষ্কৃতি ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমনের অনুসারিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল ২০১৩ সালের ২৪ জুন। ওইদিন দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সাজু পালিত ও আরমান হোসেন নামে দুজন মারা যান। এর আগে ২০১৫ সালের ১৬ নভেম্বর এবং ওই বছরের ৭, ১২ ও ৩১ অক্টোবর উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর মধ্যে ১২ অক্টোবরের ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছিলেন তিনজন। এ ঘটনার পর নগর ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ পৃথক পৃথক দিনে নগরীতে শোডাউনও করেছিল।

২০১৬ সালের ৮ মার্চ মিছিল করাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এতে নাসির ও রকি নামে দুই ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন। ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর নাসিরাবাদ এলাকায় ফুটপাতের দোকান দখল–বেদখল নিয়ে ছাত্রলীগ–যুবলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়। ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি সার্কিট হাউসের ভেতরেই এক ছাত্রলীগের নেতাকে প্রতিপক্ষ গ্রুপের নেতা–কর্মীরা কুপিয়ে জখম করে। ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি নগরীর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্র সংসদের জিএস আবদুল্লাহ আল রুবেল জিয়া আহত হন প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলায়। এর একদিন আগে ৭ জানুয়ারি আধিপত্য বজায় রাখার জন্য একই ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে আহত হয়েছিলেন চারজন। ওইদিন ছাত্রলীগ নেতা শফি গ্রুপের অনুসারীরা ক্যাম্পসে প্রবেশ করে কলেজ সভাপতি রায়হানুল হক গ্রুপের উপর হামলা চালায়। -দৈনিক আজাদী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!