নিউজ ডেক্স : পর্যটন নগরী কক্সবাজারে রেল সংযোগ স্থাপনের জন্য দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০১ কিলোমিটার রেল লাইন স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেল লাইন স্থাপনের কাজ এগিয়ে গেলেও চট্টগ্রামের ষোলশহর থেকে দোহাজারী পর্যন্ত সাড়ে ৪০কিলোমিটার রেল লাইন আগের পুরনো। এই পুরনো রেল লাইনের অবস্থা তেমন ভালো নয়। রেল লাইনে পাথর নেই বললেই চলে। এই কারণে রেল কর্তৃপক্ষ ষোলশহর থেকে দোহাজারী পর্যন্ত সাড়ে ৪০কিলোমিটার রেল লাইন সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। এই রেলপথ সংস্কারের জন্য টেন্ডার আহ্বান করলে দুটি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। কাজের জন্য এই দুটি প্রতিষ্ঠানের সাথে রেলওয়ের চুক্তি হয়।
কিন্তু গত চার মাস জরুরি প্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া অন্যান্য সব ধরনের পণ্য আমদানির এলসি বন্ধ থাকায় ঠিকাদার পাথর আমদানি করতে পারেনি। এলসি বন্ধ থাকায় গত চার মাসেও কাজ শুরু করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে পাথরের এলসি ওপেন করে দেয়ার পর ভারত থেকে পাথর আসতে শুরু করবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। এরপর থেকে রেল লাইনে পাথর দেয়ার কাজ শুরু হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলের জন্য কালুরঘাট সেতু এবং চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেল লাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নতুন কালুরঘাট সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হতে দেরী হওয়ায় পুরো সেতুটি মেরামত উপযোগী করে ট্রেন চালানোর জন্য বুয়েটকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। সাড়ে ৮ কোটি টাকা পরামর্শক ফি’র বিনিময়ে বুয়েট কাজ শুরু করে। তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করে এখন মেরামতের বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছেন।
এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ট্র্যাক) মো. আরমান হোসেন বলেন, ষোলশহর থেকে দোহাজারী পর্যন্ত রেল লাইন সংস্কারে দুজন ঠিকাদারের সাথে গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে দুটি চুক্তি হয়েছে। এই রেলপথে মূলত পাথর ফেলানো হবে। এই রেলপথে ট্র্যাকের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু পাথরের এলসি বন্ধ থাকায় ঠিকাদার পাথর আমদানি করতে পারছেন না, কাজও শুরু করা যায়নি। আমরা এরমধ্যে এই ব্যাপারে প্রধান প্রকৌশলীসহ ঠিকাদারের সাথে বসেছি। ঠিকাদার আমাদেরকে জানিয়েছেন চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে এলসি ওপেন হবে। এরপর থেকে পাথর আসতে শুরু করবে। পাথর ভারত থেকে আসবে। কাজ শেষ হতে ৪ মাসের মতো লাগতে পারে।
কঙবাজার রুটে ট্রেন চালানোর ব্যাপারে প্রকৌশলী মো. আরমান হোসেন জানান, ষোলশহর থেকে দোহাজারী পর্যন্ত রেললাইন এখন যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থায় যদি ট্রেন চালানো হয়-তাহলে একেবারে কম গতিতে চালাতে হবে। আর রেল লাইনে পাথর দিয়ে সংস্কার করা হলে ট্রেন গতি বাড়িয়ে চলতে পারবে। আর কালুরঘাট সেতু মেরামতের ব্যাপারে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছেন। তারা সরেজমিনে এক মাস কাজ করেছেন। তারা উন্নত টেকনোলজি ব্যবহার করেছেন। উপর থেকে নিচ পর্যন্ত হাজার হাজার ছবি তুলে নিয়ে গবেষণা করছেন। আগামী মে-জুন নাগাদ তারা ডিজাইন করে ফাইনাল রিপোর্ট দেবে বলে আশা করছি। -আজাদী প্রতিবেদন