ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | চাদে বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি, পঞ্চম বাংলাদেশ

চাদে বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি, পঞ্চম বাংলাদেশ

ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক ডেক্স : গত বছর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দূষিত দেশের তালিকায় পঞ্চম স্থানে জায়গা পেয়েছে বাংলাদেশ। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ু পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের পঞ্চম বার্ষিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। ২০২২ সালে বিশ্বের ১৩১টি দেশের ৭ হাজার ৩২৩টি স্থানে ৩০ হাজারের বেশি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে আইকিউএয়ার।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের মাত্র ছয়টি (পাঁচ শতাংশ) দেশ বায়ুদূষণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পিএম২.৫ নির্দেশিকা মেনে চলতে সক্ষম হয়েছে। দেশগুলো হলো অস্ট্রেলিয়া, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, গ্রেনাডা, আইসল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড।

২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি দূষিত দেশগুলো ছিল চাদ, ইরাক, পাকিস্তান, বাহরাইন ও বাংলাদেশ। এর মধ্যে চাদে দূষণের পরিমাণ ছিল ডব্লিউএইচও নির্ধারিত মাত্রার তুলনায় ১৭ গুণের বেশি (৮৯ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার), ইরাকে ১৬ গুণের বেশি (৮০ দশমিক ১ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার), পাকিস্তানে ১৪ গুণের বেশি (৭০ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার), বাহরাইনে ১৩ গুণের বেশি (৬৬ দশমিক ৬ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার) এবং বাংলাদেশে প্রায় ১৩ গুণ (৬৫ দশমিক ৮ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার)।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুসারে বাতাসে ক্ষতিকর কণার সর্বোচ্চ সহনীয় মাত্রা পাঁচ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার। আইকিউএয়ারের প্রতিবেদন বলছে, গত বছর ১৩১টি দেশের মধ্যে ১১৮টি দেশেই বাতাসে ক্ষতিকর কণার উপস্থিতি সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি ছিল।

প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর ১০টি শহরের মধ্যে আটটিই হলো মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের। গত বছর সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ ছিল পাকিস্তানের লাহোরে। ২০২১ সালের তালিকায় ১৫তম স্থানে ছিল শহরটি।

দক্ষিণ আমেরিকার শীর্ষ ১৫ দূষিত শহরের মধ্যে সর্বোচ্চ আটটি শহর ছিল চিলির। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দূষিত শহর কানসাসের কফিভাইল এবং প্রধান শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষণ ছিল ওহাইওর কলম্বাসে। দেশটির সবচেয়ে বিশুদ্ধ বায়ুর শহর লাস ভেগাস।

নেদারল্যান্ডসভিত্তিক পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিস ইন্টারন্যাশনালের জ্যেষ্ঠ গবেষক আইডান ফ্যারো বলেছেন, বিশ্বের অনেক লোকই জানে না, তারা দূষিত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে। বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণ যে তথ্য সরবরাহ করে, তা সম্প্রদায়গুলোকে পরিবর্তনের দাবিতে অনুপ্রাণিত করতে এবং দূষণকারীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে পারে। কিন্তু পর্যবেক্ষণ যখন অগোছালো বা অসম হয়, তখন অরক্ষিত সম্প্রদায়গুলোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার মতো কোনো তথ্য থাকে না। প্রত্যেকেরই বায়ুদূষণ থেকে তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখার অধিকার রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!