Home | ব্রেকিং নিউজ | কলাউজানের নাজির খাঁ দিঘীতে মৎস্য শিকারের অনুমতি হাইকোর্টের

কলাউজানের নাজির খাঁ দিঘীতে মৎস্য শিকারের অনুমতি হাইকোর্টের

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর কলাউজানের নাজির খাঁ দিঘী থেকে মালিক পক্ষকে মৎস্য শিকার করার অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট। এডভোকেট শেফায়েত সোলতানা রুমির আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৮ এপ্রিল বিচারক মামুন রহমানের আদালতে শুনানী শেষে এই আদেশ দেন।

জানা যায়, দিঘীর স্বত্বাধিকারী ইসরাত জাহান সিদ্দিকা মৎস্যাদি জিয়ানে শিকারে মৌরশীক্রমে তামাদির ঊর্ধ্বকাল যাবৎ ভোগ দখলে স্থিত আছেন। দিঘীর সম্পত্তির দরখাস্তকারী স্বত ঘোষনার দাবীতে মাননীয় ১ম সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, চট্টগ্রাম অপর ১৮/২০০১ নং মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলা বিগত ১৪/০৯/২০০৫ ইং তারিখের রায় এবং ২১/০৯/২০০৫ ইং তারিখের ডিক্রী মূলে সরকারের বিরুদ্ধে দরখাস্তকারীর স্বত্ব দখল স্বীকৃত হয়। বিজ্ঞ নিম্ন আদালতের উক্ত রায় ডিক্রীর বিরুদ্ধে এলাকার কতেক দূর্লোভী ব্যক্তি জেলা জজ আদালত, চট্টগ্রামে অপর আপীল ৫০৭/২০০৫ নং মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় বাংলাদেশ সরকার ও বিবাদী রেসপনডেন্ট হিসাবে পক্ষভুক্ত আছে। বিজ্ঞ জেলা জজ আদালত বর্ণিত আপীল নিস্পত্তির জন্য মাননীয় ৩য় অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে স্থানান্তরিত করেন। উক্ত দিঘীর ভোগ দখলে বিঘ্ন সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা করলে বিজ্ঞ আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালতের বিগত ২৯/১০/২০২০ ইং তারিখের আদেশের বিরুদ্ধে দরখাস্তকারী মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে সিভিল রিভিশন ২৪১০/২০২০ নং মামলা দায়ের করেন। উক্ত সিভিল রিভিশন মামলায় উক্ত দিঘীর স্বত্বাধিকারী ইসরাত জাহান সিদ্দিকাকে মৎস্য শিকার করার জন্য অনুমতি প্রদান করেন। এছাড়া আপীল মোকদ্দমা ৫০৭/২০০৫ নিষ্পত্তি না হওয়ায় পর্যন্ত উভয় পক্ষকে উক্ত নির্দেশ মানিয়ে চলার নির্দেশ দেয়া গেল।

হাইকোর্ট ডিভিশনের আদেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক, লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবরে হাইকোর্টের আদেশের কপি প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এডভোকেট শেফায়েত সোলতানা রুমি।

উল্লেখ্য, কলাউজান ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রায়ত আলহাজ্ব বজলুর রহমান সিকদারের অসহায় বিধবা পুত্র বধু দিলরুবা হাসনা রুমা ওয়ারিশমূলে নাজির খাঁ দিঘী প্রায় ৩৬ বৎসর যাবত ভোগ দখলে স্থিত আছেন। দিঘীর জলীয় কিছু অংশ ভুলক্রমে বিএস জরিপে বাংলাদেশ সরকারের নামে রেকর্ড হয়। পরে ইসরাত জাহান ছিদ্দিকার ভাই মুসা খালেদ জাহাঙ্গীর সিকদার ভুল রেকর্ডের সংশোধন চেয়ে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত চট্টগ্রামে মামলা করেন। দুতরফা শুনানী শেষে ২০০৫ সনের ১৪ সেপ্টেম্বর বিএস রেকর্ড ভুল ঘোষণা করেন ও বাদীদের স্বত্ব ঘোষণা করে রায় দেন আদালত। রায়ের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষ আর কোন আপিল করেননি। কিন্তু দিঘীর পার্শ্ববর্তী কিছু অসৎ ব্যক্তি দলবদ্ধ হয়ে ওই রায়ের বিরুদ্ধে অপর আপিল মামলা (নং- ৫০৭/২০০৫) দায়ের করেন। যা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত চট্টগ্রাম- ৩ এ বিচারাধীন। ২০২১ সনের ২৫ অক্টোবর ওই কুচক্রি মহল বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদেরকে সামনে রেখে দিঘীতে মৎস্যচাষ পরিচালনায় হয়রানির চেষ্টা করলে এই অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশের আবেদন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!