ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | ইভিএমে ফিঙ্গার প্রিন্ট মেলেনি সিইসির!

ইভিএমে ফিঙ্গার প্রিন্ট মেলেনি সিইসির!

5

নিউজ ডেক্স : ফিঙ্গার প্রিন্ট না মেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে বিড়ম্বনায় পড়েন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। পরে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) দেখিয়ে নিজের ভোট দেন তিনি। শনিবার বেলা সোয়া ১১ টার দিকে উত্তরার আইইএস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট দেন তিনি। সিইসি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভোটার।

ভোট দেয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নুরুল হুদা বলেন, এজেন্টদের কেন্দ্রে টিকে থাকতে হবে। যদি কেউ বাধা প্রদান করে তাহলে তাদের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে গিয়ে অভিযোগ করতে হবে। এ অভিযোগেও যদি সমাধান না হয়, তাহলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শরণাপন্ন হতে হবে। সেটা না করে বাইরে গিয়ে অভিযোগ করবেন, এজেন্টদের বের করে দিচ্ছে, সেই অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়, এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, এজেন্টদের ধৈর্য ধরতে হবে। তারা নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদ করবেন। এসব না করে বের হয়ে অভিযোগ করলেও কোনো লাভ হবে না।

ইভিএম ভোটারদের ইতিবাচক সাড়া মিলছে জানিয়ে সিইসি বলেন, ইভিএমে ভোট দিতে পেরে ভোটাররা খুশি। ভোটের পরিবেশ খুব শান্ত। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পায়নি। সুন্দরভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। আমরা ভোটের সার্বিক পরিস্থিতিতে সন্তুষ্ট। ভোট দিচ্ছেন সিইসি কেএম নুরুল হুদা।

ইভিএমে জালিয়াতি প্রসঙ্গে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাবে বলেছিলেন, ‘এত সহজ নাকি! এত সহজ! প্রশ্নই ওঠে না। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘আগে যখন ব্যালটে ভোট হতো, তখন ছিনতাই করে নিলে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেত। কিন্তু ওইরকম করা কি সম্ভব? ইভিএম এমন একটা জিনিস, যেখানে ভোটারকে কেন্দ্রে যেতে হবে। এটা আমাদের অর্জন। আগে ভোটার যেত বা না যেত, ভোট হয়ে যেতে পারত। এখন আর সেই সুযোগ নেই।’

ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে এবার দুই সিটির ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকার দুই সিটিতে ২ হাজার ৪৬৮টি ভোটকেন্দ্র ও ১৪ হাজার ৪৩৪টি ভোটকক্ষ রয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ হাজার ৩১৮টি ভোটকেন্দ্র ও ৭ হাজার ৮৫৭টি ভোটকক্ষ এবং দক্ষিণ সিটিতে ১ হাজার ১৫০টি ভোটকেন্দ্র ও ৬ হাজার ৫৮৮টি ভোটকক্ষ রয়েছে।

গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল গত ৩১ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ জানুয়ারি, প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ৯ জানুয়ারি। ভোটগ্রহণের তারিখ ৩০ জানুয়ারি থাকলেও ওইদিন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা থাকায় তা পরিবর্তন করে ১ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। গত ১০ জানুয়ারি প্রচার শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার প্রচার শেষ হলো। মোট ২১ দিন প্রচারের সুযোগ পান প্রার্থীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!