এলনিউজ২৪ডটকম : দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইন এখন আর স্বপ্ন নয়। বাস্তবায়নে দ্রুত কাজ এগিয়ে চলছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দৃশ্যমান হবে। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা ওয়াদা করেন তা বাস্তবায়ন করেন। তিনি জনগণের কাজে পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন। বিশ্ব ব্যাংকের বিরোধীতা স্বত্বেও এ প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে ইতোমধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার রেল লাইনের কাজ দোহাজারী পয়েন্টে শুরু হয়েছে।
১ আগষ্ট বুধবার বিকেলবেলা দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে গুনদুম পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের জন্য লোহাগাড়া অংশে অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদের নিকট চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

এ প্রকল্পের জন্য যারা জমি দিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, দেশে উন্নয়ন কাজে জমির মালিকরা শরিক হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি চেক দেয়ার জন্য লোহাগাড়ায় এসেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদেরকে কোন অবস্থাতেই যেন হয়রানীর শিকার হতে না হয়। তিনি বলেন, যারা এখনো জমির মূল্যের চেক পাননি তাদের সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতার প্রতিশ্র“তি দেন। প্রশাসন তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবেন। তিনি রেল লাইন প্রকল্প বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন।
লোহাগাড়া উপজেলা পাবলিক হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু আসলাম। বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মুমিনুর রশিদ, লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন খান, রেলওয়ে বিভাগের কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য আনোয়ার কামাল ও লোহাগাড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুচ্ছফা চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন আরো বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন তখন মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৪শ ডলার। বর্তমানে প্রায় ১৮শ ডলারে উন্নীত হয়েছে।
লোহাগাড়ায় মোট ৫২ জন ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ১৬ কোটি ৭ লাখ ৩৪ হাজার টাকার চেক তুলে দেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
অনুষ্ঠানে লোহাগাড়ার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সংবাদকর্মীসহ অধিগ্রহণকৃত জমির মালিক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।