Home | লোহাগাড়ার সংবাদ | লোহাগাড়ায় বাঁশ ও কাঠ বোঝাই গাড়ি থেকে বনবিভাগের চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

লোহাগাড়ায় বাঁশ ও কাঠ বোঝাই গাড়ি থেকে বনবিভাগের চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

(ফাইল ছবি)

(ফাইল ছবি)

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে লোহাগাড়া চুনতি রেঞ্জের সাতগড় বনবিট ও চুনতী অভয় অরণ্য বনবিটের বিরুদ্ধে মহাসড়কে চলাচলরত বাঁশ ও কাঠের গাড়ি আটকিয়ে টাকা আদায়ের ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। কাঠ ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজন এ অভিযোগ করেন।

কাঠ ব্যবসায়ীরা বলেন, পার্বত্য বান্দরবানের আজিজ নগর ও কেঁয়াজুপাড়া এলাকায় ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রজাতির গাছের বাগান কেনেন ব্যবসায়ীরা। পরবর্তী সময়ে সেই বাগান থেকে গাছ কেটে আজিজ নগর স্টেশন দিয়ে বিভিন্ন করাতকলে নিয়ে যাওয়া হয়। নেয়ার সময় আজিজ নগর স্টেশন ও আশপাশ এলাকায় সাতগড় বনবিট কর্মকর্তা ও বনপ্রহরীরা অবস্থান নিয়ে কাঠের গাড়ি আটকে দেন। এরপর ২শ’ টাকা থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায়ের পর কাঠ বোঝাই গাড়ি ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ করেন কাঠ ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয়রা বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের আজিজ নগর ও কাপ্তাই থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক হয়ে বাঁশের গাড়ি যায় কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে। সেখানে মিয়ানমারের শরণার্থীরা বসতঘর তৈরিতে সেই বাঁশ ব্যবহার করেন। কিন্তু বাঁশ বোঝাই গাড়ি লোহাগাড়া চুনতি রেঞ্জের আওতাধীন সাতগড় বনবিট এলাকায় পৌঁছালে আটকে দেন বনকর্মীরা। এরপর ৮শ’ টাকা থেকে এক হাজার টাকা আদায়ের পর ছেড়ে দেন। টাকা দিতে না চাইলে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন।

দুই প্রত্যক্ষদর্শী কাঠ ব্যবসায়ী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার সময় কাপ্তাই থেকে উখিয়াগামী একটি বাঁশবোঝাই ট্রাক হারবাং চৌধুরী জসিম ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছালে থামার সংকেত দেন সাতগড় বনবিট কর্মকর্তা ও বনপ্রহরী জসিম উদ্দিন। ট্রাকটি ফিলিং স্টেশনের পাশে সাইড করে দাঁড় করিয়ে এক হাজার ২শ’ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ট্রাকটি বনবিটে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। একপর্যায়ে ৮শ’ টাকা দিয়ে ট্রাকটি ছাড়া পায়। এ ছাড়া চুনতি অভয় অরণ্যের বনবিট র্কমর্কতা প্রহরীদের নিয়ে মহাসড়কে কাঠ ও বাঁশ বোঝাই গাড়ি আটকিয়ে টাকা আদায় করে গাড়ি ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। টাকা না দিলে বিভিন্ন মামলার হুমকি দেয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা। একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, তারা কোনো প্রকার অভিযোগ করছে শুনলে বিট কর্মকর্তারা তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন। -মানবকন্ঠ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!