ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | চলতি বছরে আউশের লক্ষ্যমাত্রা পূরন না হওয়ার শংকা

চলতি বছরে আউশের লক্ষ্যমাত্রা পূরন না হওয়ার শংকা

f7a88c217edb3e734f3d867545006c61

নিউজ ডেক্স : চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে চন্দনাইশ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চার চারবারের বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার আশিভাগ আউশ ধানের খেত ও আমন বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে চলতি বছরে আউশের লক্ষ্যমাত্রা পূরন না হওয়ার শংকা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে চলতি বছরে বর্ষা মৌসুম আরম্ভ হওয়ার আগ থেকেই শুরু হওয়া টানা বর্ষণের কারণে একাধিকবার নষ্ট হয়েছে আউশ বীজতলা।

যে কারণে আউশের মৌসুম শুরু হলেও তৈরি করা জমিতে পুরোপুরি চারা রোপণ সম্ভব হয়নি। অনেক কৃষক পটিয়া, বোয়ালখালী, লোহাগাড়াসহ আরো কয়েকটি উপজেলা থেকে আউশ চারা সংগ্রহের পর তা রোপণ করে মোটামুটি লক্ষ্যমাত্রা পূরনে এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিধিবাম প্রকৃতি কোনভাবেই মেনে নেয়নি কৃষকদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলা উৎপাদনকে। মাত্র দেড় মাসের ব্যবধানে চার চারটি বন্যার পাশাপাশি অবিরাম বর্ষনই কাল হয়ে দাঁড়ায় আউশ চাষে। মে মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু হওয়া বর্ষণে কৃষকরা ভালোভাবেই আউশের বীজতলা তৈরী করতে পারলেও সে চারা তুলতে পারেনি জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে সৃষ্ট বন্যার কারনে। ফলে কৃষকরা বন্যা শেষে দ্বিতীয়বার আমন বীজতলা তৈরী করে। কিন্তু সে চারা উপযুক্ততা অর্জনের আগেই ভাসিয়ে নিয়ে যায় জুন মাসের শেষ সপ্তাহে দ্বিতীয় দফা বন্যায়। তৃতীয় দফায় আউশের বীজতলা পুনরায় তৈরি করে কোনরকমে চারা উৎপাদন করে রোপণও করে কৃষকরা। রোপন করা চারা মাথা তুলে দাঁড়াবার আগেই বয়ে যায় তৃতীয় দফা বন্যা। প্রকৃতির সাথে যেন কৃষকদের যুদ্ধ চলছে এমন পরিস্থিতিতে চন্দনাইশ উপজেলার ৮০ ভাগ আউশ ধানের খেত ও আরোপিত বীজতলার চারা পানির নীচে তলিয়ে গিয়ে পচে নষ্ট হয়ে যায়। বারবার বন্যা, পাহাড়ি ঢল, অবিরাম বর্ষনে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার কারনে আউশের পাশাপাশি আমন বীজতলাও নষ্ট হয়ে গেছে। আউশ চাষের সাথে সম্পৃক্ত কৃষক হোসেন আলী, রহমত মিয়া, নবাব মিয়া, নুরুল হক, আবদুস শুক্কুরসহ আরো অনেকেই জানায় বন্যার কারনে তাদের তিন তিনবার রোপন করা আউশ ধানের খেত সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। এখন তারা আউশের উৎপাদনের চিন্তা বাদ দিয়ে আমন চাষের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। তিন থেকে চারবার আমনের উৎপাদন না হওয়ায় চলতি বছর আমনের লক্ষ্যমাত্রা পুরনের ক্ষেত্রে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে। চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান হোসেন মজুমদার আউশের লক্ষ্যমাত্রা পূরনে সংশয়ের কথা স্বীকার করে বলেন , উপজেলায় প্রায় এক থেকে দেড়’শ হেক্টর আউশের খেত নষ্ট হয়ে গেছে। পাশাপাশি আরো শতাধিক হেক্টর জমির আমন বীজতলার ও ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরো বলেন একাধিকবার বন্যার কারনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে কৃষি বিভাগ থেকে নানাভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে। তাছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদেরকে ক্ষতিপূরনসহ অন্যান্য সহযোগিতা করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দফতরে ক্ষয়ক্ষতির হিসাবও প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।

-আজাদী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!