Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | ঢাবি ছাত্রীর ধর্ষক মজনু সিরিয়াল রেপিস্ট : র‌্যাব

ঢাবি ছাত্রীর ধর্ষক মজনু সিরিয়াল রেপিস্ট : র‌্যাব

rapiest-20200108143403

নিউজ ডেক্স : রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় র‌্যাব যাকে গ্রেফতার করেছে তার নাম মজনু। গ্রেফতার মজনু একজন সিরিয়াল রেপিস্ট বলে জানিয়েছে র‌্যাব। র‌্যাব বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মজনু নিজেই স্বীকার করেছে সে একজন সিরিয়াল রেপিস্ট।

গ্রেফতার মজনুকে নিয়ে বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব। সেখানে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, মজনু মাদকাসক্ত। তার বাড়ি হাতিয়ায়। সে এর আগেও ওই একই এলাকায় ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ করেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী যেদিন ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে সারোয়ার বলেন, সেদিন মজনু অসুস্থতার কারণে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে দেখেন ও তাকে ধর্ষণ করার জন্য টার্গেট করেন।

কয়েক বছর আগে মজনু বিয়ে করেছিল ও তার স্ত্রী মারা গেছেন বলেও জানিয়েছে র‌্যাব। পেশায় হকার মজনু চুরি-ছিনতাইয়ের সাথেও জড়িত।

র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক বলেন, ৫ জানুয়ারি (রোববার) মেয়েটি কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর মজনু অনুসরণ করে তার গলা চেপে ধরে। তাকে রাস্তার কিনারা থেকে ঝোপঝাড়ের পেছনে নিয়ে যায়। এরপর তাকে কয়েকবার কিল-ঘুষিও মারে। ধর্ষণের সময় কয়েকবার তার গলা টিপে হত্যার হুমকি দেয় মজনু।

তিনি আরও বলেন, মজনু ওই ছাত্রীকে তিন ঘণ্টা সেখানে রেখেছিল। এর মধ্যে মেয়েটি কয়েকবার অচেতন হয়ে পড়ে। সর্বশেষ মেয়েটির যখন জ্ঞান ফেরে তখন সে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে রাস্তার ওপারে চলে যায়।

মজনুর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে সারোয়ার বিন কাশেম জানান, ধর্ষণের সময় মজনু একা ছিল আর কেউ ছিল না। সে একজন ছিনতাইকারী এবং সিরিয়াল রেপিস্ট। তার কাছ থেকে কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। এর আগেও বেশ কয়েকজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুক নারীকে এই ঝোপঝাড়ে এনে ধর্ষণ করে মজনু।

গত রোববার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষণিকা বাসে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কুর্মিটোলা নামার পর তাকে ফুটপাতের ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে ওই শিক্ষার্থী রিকশায় বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

ওই ঘটনায় সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!