Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | জেকেজির মামলায় ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ৬ সেপ্টেম্বর

জেকেজির মামলায় ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ৬ সেপ্টেম্বর

ফাইল ছবি

নিউজ ডেক্স : করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (২৩ আগস্ট) ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর  ইয়াসির আহসান  চৌধুরী মামলার অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য এই দিন ঠিক করে দেন।  এ তথ্য জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম আইনজীবী আজাদ রহমান।

ঢাকার মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী গতবছর ২০ আগস্ট এ মামলার আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।  রাষ্ট্রপক্ষে ৪৩ জন সাক্ষীর মধ্যে এক তৃতীয়াংশের সাক্ষ্যগ্রহণ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।

কিন্তু মহামারির কারণে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণও আটকে যায়। আদালতে আবার স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এখন সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য নতুন দিন ধার্য করে দিলেন আদালত।

সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুল ছাড়া মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব নিয়েছিল ওভাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ার।

কিন্তু গতবছর জুনের শেষ দিকে অভিযোগ আসে, সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে বুকিং বিডি ও হেলথকেয়ার নামে দুটি সাইটের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছিল জেকেজি। নমুনা পরীক্ষা না করে রোগীদের ভুয়া সনদও তারা দিচ্ছিল।

এ বিষয়ে রাজধানীর কল্যাণপুরের একটি বাড়ির কেয়ারটেকার কামাল হোসেনের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গতবছর ২২ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের সাবেক গ্রাফিক ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরে তাদের কম্পিউটার থেকে চারজন প্রবাসীরসহ ৪৩ জনের নামে তৈরি করা করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট পাওয়া যায়।

পরদিন কামাল হোসেন বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করেন ওই দুজনের বিরুদ্ধে। সরকারি নাম ব্যবহার করে টাকা আত্মসাৎ, কাজে অবহেলার মাধ্যমে জীবন বিপন্নকারী রোগের সংক্রামণ বিস্তারের ঝুঁকি তৈরি, করোনাভাইরাসের সনদ জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয় সেখানে।

হুমায়ুন ও তার স্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে তেজগাঁও থানা পুলিশ জেকেজির সিইও আরিফুল চৌধুরী, তার বোন জেবুন্নেছাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে ১২ জুলাই জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

সরকারি চাকরিতে থাকা অবস্থায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হয়ে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা ভঙ্গ করায় সাবরিনাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী গত ৫ আগস্ট এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করলে তার ভিত্তিতে গতবছর ২০ আগস্ট অভিযোগ গঠন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!