Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | কেমিক্যাল আগুন নেভাতে এলো ফায়ার সার্ভিসের ‘হাজমত টেন্ডার’

কেমিক্যাল আগুন নেভাতে এলো ফায়ার সার্ভিসের ‘হাজমত টেন্ডার’

নিউজ ডেক্স : সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোর কেমিক্যাল আগুন নেভাতে ঢাকা থেকে আনা হয়েছে হাজমত টেন্ডার (গাড়ি)। যা দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে মনে করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মনির হোসেন বলেন, নিরাপদ দূরত্ব সরানো না। কনটেইনার ঠাণ্ডা হচ্ছে। কনটেইনারগুলো সরানোর জন্য হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট আনছে ডিপো কর্তৃপক্ষ। ৬টি টিম রেডি করেছি। ৮-১০ টি কনটেইনারে আগুন আছে। আলাদা করে আগুন নেভানো হবে। কেমিক্যাল আগুন নেভাতে ২টি হাজমত টেন্ডারসহ (গাড়ি)  ২০ জনের টিম এসেছি ঢাকা থেকে।  

তিনি বলেন, ডিপোতে হাইড্রেন্ট সিস্টেম ছিল না। পানির লাইন থাকলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবল থাকলে৷ তারাই নিভিয়ে ফেলতে পারতেন। এত বড় ডিপোতে হাইড্রেন্ট সিস্টেম থাকা উচিত। শুনেছি তাদের ফায়ার সনদ নেই।  

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আগুন লাগলে দ্রুত ফায়ার সার্ভিস ছুটে আসে। কেমিক্যাল ছিল জানানো হয়নি। ডিপো, গুদামে সেপারেশন করতে হয় পণ্য। কেমিক্যাল পণ্য আইসোলেশন করে রাখতে হয়। চেনার মনোগ্রাম আছে, আগুনের সিম্বল থাকে।  হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড বিষাক্ত নয়। এখানে গাম ছিল। এখন গার্মেন্টস আইটেমে আগুন জ্বলছে। হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের কনটেইনার সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা জানান, ৪টি ইউনিট পানি দিয়ে কনটেইনার ঠাণ্ডা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।  কেমিক্যালের আগুন নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ইক্যুইপমেন্ট রয়েছে। লজিস্টিক সাপোর্ট পেলে ৫-৬ ঘণ্টায় পুরো আগুন নেভাতে সক্ষম হবো। সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে লাগা আগুন প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এখনো কনটেইনারে জ্বলছে আগুন।  

এর আগে শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে কদমরসুল এলাকায় বিএম ডিপোতে আগুনের পর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শতাধিক মানুষ দগ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। -বাংলানিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!