Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | এখন রিজিয়াকে নিয়ে এতো কথা কেন: ওবায়দুল কাদের

এখন রিজিয়াকে নিয়ে এতো কথা কেন: ওবায়দুল কাদের

365

নিউজ ডেক্স : স্বামী আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হওয়ার চার বছর পর রিজিয়া নদভীর বাবার জামায়াত পরিচয় নিয়ে এখন প্রশ্ন তোলা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ওবায়দুল কাদের।

রিজিয়াকে মহিলা আওয়ামী লীগের পদ দেওয়ার ক্ষেত্রে তার বিয়ের পরের কর্মকাণ্ডই শুধু বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভীর স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরীকে (রিজিয়া নদভী) সম্প্রতি মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও দলটি থেকে একাধিক বার চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থী মুমিনুল হক চৌধুরীর মেয়ে রিজিয়াকে সহযোগী সংগঠনে পদ দেওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতর থেকেই সমালোচনা উঠেছে।

মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদনকারী কাদের রোববার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এলে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন।

পদ দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেছেন, “বিয়ের পরে সে জামাতের কোথাও জড়িত ছিল কি না, সেটা দেখা হয়েছে।”

সমালোচনার প্রতিক্রিয়ায় রিজিয়া সম্প্রতি বলেছেন, তিনি বিয়ের আগে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন না। বিয়ের পর স্বামীর আদর্শের অনুসারী হয়ে আওয়ামী লীগের কাজ করছেন।

রিজিয়াকে পদ দেওয়ায় কোথাও কোনো ধরনের ক্ষোভ দেখেননি বলে জানান ওবায়দুল কাদের। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘সাময়িকভাবে বিতর্ক সৃষ্টি করার’ সুযোগ আছে।

প্রশ্ন যারা তুলেছেন, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “যিনি আওয়ামী লীগের এমপি, যিনি চার বছর ধরে এমপির দয়িত্বে, এ চার বছর কিন্তু তাকে নিয়ে কথা হয়নি। তার ওয়াইফ যদি জামাতের নেতার সন্তান হয়, তাহলে চার বছর ধরে এই সন্তানের হাজব্যান্ড হচ্ছে এমপি, এই এমপিকে নিয়ে, তার মনোনয়ন নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেননি কেন?”

“এবং তার বিষয়েও কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করেননি এবং ভদ্র মহিলা নিজেই প্রশ্ন করছেন, ‘আমার সন্তানেরা কি তাহলে আওয়ামী লীগ করতে পারবে না?’ তার হাজব্যান্ডের সঙ্গে সে আওয়ামী লীগ করছে, ভদ্র মহিলা বাবার সাথে এবং তার (এমপির) শশুরের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।”

রিজিয়া তার বাবার দল জামায়াতের পক্ষে কাজ করছে, এমন কোনো প্রমাণ পাননি বলে জানানন তিনি।

নদভী ও রিজিয়ার সঙ্গে নিজের ছবির প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “যিনি এমপি, তিনি (এমপি) আসছেন আমার সাথে দেখা করতে, তখন কি আমি বলব, এই আপনি ছবিতে সাথে আইসেন না। সে তো এই এমপির ওয়াইফ।

“তিনি (রিজিয়া) কি জামাতের কোনো সংগঠনের সদস্য? সে তো জামাতের কেউ না, জামাতের কর্মী না, সে তো আওয়ামী লীগের কাজ করছে।”

তাহলে রিজিয়াকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটি থেকে আগে কেন বাদ দেওয়া হল- প্রশ্ন করা হলে কাদের বলেন, “এ ধরণের কোনো কথা আমি শুনিনি। আপনি কি এখন জেলা কমিটির সভাপতির সাথে কথা বলবেন? এটা ঠিক না।”

আওয়ামী লীগে সদস্য করা ক্ষেত্রে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলে আসছেন ওবায়দুল কাদের। রিজিয়াকে পদ দেওয়ার মধ্য দিয়ে তাই ঘটেছে বলে আওয়ামী লীগ সমর্থক অনেকে বলছেন।

এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সারা দেশে কোথায় শিবির আওয়ামী লীগের পোস্টে আছে, প্রমাণ দিন। কোথায় আমাদের মেম্বার হয়েছে?

“এ প্রশ্ন গত চার বছর কেউ করল না কেন? একেকবার একেজনকে নিয়ে শুরু হয়েছে, এর আগে শুরু হয়েছে হেফাজত নিয়ে, এখন শুরু হয়েছে এমপির স্ত্রীকে নিয়ে,” প্রশ্নকারীদের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!