Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | ইভিএম থেকে সরে আসা সম্ভব না : সিইসি

ইভিএম থেকে সরে আসা সম্ভব না : সিইসি

cec-20200106200139

নিউজ ডেক্স : ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, ‘নির্বাচনে ইভিএম থেকে সরে আসা সম্ভব না। সরে আসার কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। ইভিএমেই ভোট হবে।’

সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দুই ঘণ্টার বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে বিএনপি অভিযোগ করে, ইভিএমের মাধ্যমে কারচুপি করবে ক্ষমতাসীন দল।

বিএনপিকে আশ্বস্ত করার বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। আমরা বলেছি যে, ইভিএমে ভোট হলে যার ভোট তিনিই দিতে পারবেন। একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারবেন না। একবারের বেশি একজন ভোট দিতে পারবেন না। এতে আলাদা কোনো প্রোগ্রামিং নেই। কোনো ভোট কারচুপি হওয়ার সুযোগ নেই।’

ইভিএমের মাধ্যমে নীরবে ভোট কারচুপির অভিযোগের বিষয়ে নুরুল হুদা বলেন, ‘নীরবে কারচুপি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা তাদের বুঝিয়ে বলেছি। আমরা বলেছি, অনেকগুলো নির্বাচন করেছি। এর মধ্যে সংসদ নির্বাচন করেছি। সিটি কর্পোরেশন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন করেছি। সেখানে কারচুপির অভিযোগ আসেনি। ভোটারদের মধ্যে এ নিয়ে কোনো রকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল না। প্রার্থী যারা জয়ী হয়েছেন, তারাও কোনো অভিযোগ করেননি।’

নির্বাচনে পুলিশ পক্ষপাতমূলক আচরণ করবে না বলে দাবি করেন নুরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘কোনটা প্রয়োজনীয় আর কোনটা নিষ্প্রয়োজনীয়, সেটা নিয়ে পুলিশের সাথে আলাদাভাবে বসব। সচিবকে দায়িত্ব দেব। আমি আগামীকাল (মঙ্গলবার) চট্টগ্রাম যাব। উনি (সচিব) সেটা উনাদের (পুলিশ) সাথে আলোচনা করবেন। আমি এসে আলাদাভাবে আলাপ করব। আমার সাথে অনানুষ্ঠানিকভাবে কথা হয়েছে, তারা কখনোই নির্বাচন নিয়ে কোনো রকম পক্ষপাতমূলক আচরণ করবে না।’

সিইসি বলেন, ‘৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত নিষ্প্রয়োজনীয় কোনো হয়রানি করা যাবে না। তার মানে এই না যে, কেউ ক্রিমিনাল অফেন্স করলে নির্বাচনের দোহাই দিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া যাবে না, এটা সম্ভব নয়। দ্বিতীয়ত, কারো ওপর আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে তখন তো কোর্টের অর্ডারের বিরুদ্ধে পুলিশ অবস্থান নিতে পারে না। এ রকম যদি হয়, সেটা দেখতে হবে।’

নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করে কঠোরভাবে বলে দেব যে, নির্বাচনের সময় যেন তারা প্রার্থীকে নিষ্প্রয়োজনীয় হয়রানি না করে এবং সেটা করবে না।’

ভোট শুরুর আগেই প্রচারের বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘প্রচার যে শুরু করেছে, সে ব্যাপারে তারা অভিযোগ করেনি। আমাদের কাছে পত্রপত্রিকায় অভিযোগ এসেছে। আমাদের রিটার্নিং কর্মকর্তারা অ্যাকশন নিয়েছেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!