পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, এবার বিজয়ের মাসে ছুটি উপভোগ করতে ১৩ থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬০ শতাংশ ছাড় ঘোষণা দিয়েছেন হোটেল, রেস্তোরাঁ ও গাড়ি ব্যবসায়ীরা। হোটেলে ৩০, জিপ-মাইক্রোবাসে ২০ ও রেস্তোরাঁয় ১০ শতাংশ ছাড় রয়েছে। তবে এই ছাড় দিয়েও তেমন পর্যটকের উপস্থিতি নেই বান্দরবানে। আশানুরূপ পর্যটকের উপস্থিতি না থাকায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
হোটেল হিলভিউয়ের ফন্ট ডেস্ক ম্যনেজার আবদুর রহিম বলেন, ১৬ ডিসেম্বর ও শীত মৌসুমে যে পরিমাণ পর্যটকের আগমন প্রত্যাশা করেছিলেন তা পূরণ হয়নি।
নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা সুমি ত্রিপুরা জানান, অন্যান্য বছরে এই দিনে যেখানে ৩-৪ হাজারের বেশি পর্যটকের আগমন ঘটতো। শুক্রবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১২০০ দর্শনার্থী প্রবেশ করেছেন মাত্র।
মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের টিকিট কাউন্টারের দ্বায়িত্বে থাকা সুকুমার তংচঙ্গ্যা জানান, বিকেল পর্যন্ত মাত্র ১১০০ পর্যটক এসেছে।
কথা হয় হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাসের সঙ্গে। তিনি জানান, বান্দরবানে পাঁচ হাজারেরও বেশি পর্যটন ধারণক্ষমতা রয়েছে। অথচ সব হোটেল মিলে ২০-২৫ শতাংশ বুকিং হয়েছে মাত্র।
পর্যটকের উপস্থিতি কম থাকায় এই মৌসুমে বান্দরবান সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা প্রায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। -জাগো নিউজ