Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | সৌদি আরবের নীরব বিপ্লব, দুশ্চিন্তায় ইউরোপ

সৌদি আরবের নীরব বিপ্লব, দুশ্চিন্তায় ইউরোপ

নিউজ ডেক্স : সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপের কথা মনে আছে? ফেভারিট তকমা নিয়ে বিশ্বকাপে পা রাখা আর্জেন্টিনাকে প্রথম ম্যাচেই দুমড়ে-মুছড়ে দিয়েছিল ‘খর্বকায়’ সৌদি আরব। তখন তো সবে বিস্ময়ের শুরু। মূল চমক তারা বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ের জন্য তুলে রেখেছিল। তেল নির্ভর অর্থনীতির বিকল্প হিসেবে দেশটি বেছে নিয়েছে ক্রীড়ার জনপ্রিয় ইভেন্টগুলোকে। ফর্মূলা ওয়ানের পর এখন সৌদি আরবের পুরো ঝোঁক ফুটবলে। সেই উচ্চবিলাসী মিশনের যাত্রা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে দিয়ে উদ্বোধন হয়েছিল!

এরপর একে একে করিম বেনজেমা, সাদিও মানে, এনগালো কান্তে ও রবার্তো ফিরমিনো হয়ে সর্বশেষ সংযোজন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার জুনিয়র। এই তালিকা আরও লম্বা, হতে পারে আরও দীর্ঘ-ও। সবমিলিয়ে প্রথমে ইউরোপীয় ফুটবলের কাছে পাত্তা না পাওয়া সৌদির ক্লাব ফুটবলও ইতোমধ্যে পরাশক্তি হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে। যে ইচ্ছার কথা ২০২২ সালে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) ঘোষণা জানিয়েছিলেন। এজন্য চালু করেছিলেন পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ)। আমরা এই বিলাসী প্রজেক্ট নিয়ে পরবর্তীতে ধারণা দেব।

তার আগে দেখে নেওয়া যাক চলতি দলবদলে সৌদি ক্লাবে যোগ দেওয়া বড় নামগুলো। স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ এড়িয়ে করিম বেনজেমা নাম লেখান আল ইত্তিহাদে। এছাড়া সাদিও মানে (বায়ার্ন মিউনিখ থেকে আল-নাসর), রবার্তো ফিরমিনো (লিভারপুল থেকে আল-আহলি), জর্ডান হেন্ডারসন (লিভারপুল থেকে আল-ইত্তিফাক), এনগোলো কান্তে (চেলসি থেকে আল-ইত্তিহাদ), এদুয়ার্দো মেন্দি (চেলসি থেকে আল-আহলি), মুসা দেম্বেলে (লিওঁ থেকে আল-ইত্তিফাক), রুবেন নেভেস (উলভস থেকে আল-হিলাল), কালিদু কুলিবালি (চেলসি থেকে আল-হিলাল), মার্সেলো ব্রজোভিচ (ইন্টার মিলান থেকে আল-নাসর) ও অ্যালেক্স তেলেস (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে আল-নাসর) সৌদির লোভনীয় প্রস্তাব ফেরাতে পারেননি।

এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ট্রান্সফার ফির রেকর্ড গড়ে দেশটির ক্লাব আল-হিলালে যোগ দিয়েছেন নেইমার। দুই মৌসুমের চুক্তিতে ৯০ মিলিয়ন ইউরোর সঙ্গে ব্রাজিলিয়ান তারকার জন্য মোটা অঙ্কের বোনাসও থাকছে। ইন্সটাগ্রাম বা টুইটারে ক্লাবের হয়ে পোস্ট করলেও থাকবে বোনাস।  পিএসজিতে বছরে ২৫ মিলিয়ন ইউরো বেতন ছিল তার। আল-হিলালে সংখ্যাটা ১৫০ মিলিয়ন।

একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় যে, কেবল ত্রিশোর্ধ্ব ফুটবলাররাই লিগটিতে পা রাখেননি, ২০ বছরের আশপাশে থাকা নেভেস, সার্গেস মিলিনকোভিচ, অ্যালান সেইন্ট-ম্যাক্সিমিন, ফ্র্যাঙ্ক কেসিয়ের মতো ফুটবলাররাও ইউরোপের ফুটবলে রাজ করার সীমাহীন হাতছানি মাড়িয়ে গিয়েছেন সৌদিতে। এভাবে ফুটবলারদের বিভিন্ন আকর্ষণীয় প্রস্তাবের ফাঁদে ফেলা সৌদি ক্লাবগুলো এত টাকা কোথায় পেল? তাদের লক্ষ্যই বা কী?

সৌদি ক্লাবগুলোর টাকার উৎস

১৯৭১ সালে তেল বিক্রির বিশাল অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগের জন্য অসংখ্য সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে থাকে সৌদি আরব। বিবিসির দেওয়া তথ্যমতে, এর পরিমাণ প্রায় ৫১৪ বিলিয়ন ইউরো। যা পরবর্তীতে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের হাত ধরে ২০১৭ সালে রূপান্তরিত হয় পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ) নামে। ফান্ডটির অধীনে সৌদি লিগের চারটি দল সৌদি সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। দলগুলো হচ্ছে- আল-নাসর, আল-হিলাল, আল-ইত্তিহাদ ও আল-আহলি। অবশ্য ইউরোপীয় ফুটবলে আরও আগে থেকে ক্লাবের মালিকানা নেওয়ার লড়াই চালিয়ে আসছিল সৌদি সরকার। পরবর্তীতে ২০২১ সালে তারা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব নিউক্যাসলের ৮০ শতাংশও কিনে নেয়। আরও কয়েকটি ক্লাব নেওয়ারও চেষ্টা করে দেশটি, তবে শেষ পর্যন্ত তারা সফল হয়নি। তবে এখন তাদের পূর্ণ মনোযোগ পিআইএফের অধীনে ২০৩০ সালে মধ্যে ক্রীড়াঙ্গনে একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করা। ভিশন-২০৩০ নাম দিয়ে এর মধ্যে ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ ১০ লিগের মধ্যেও প্রবেশের স্বপ্ন দেখছেন এমবিএস। তাই তো পর্তুগিজ তারকা রোনালদোকে দিয়ে শুরু করে বড় বড় সব তারকা ফুটবলারদের দিয়ে শক্তিধর ফুটবলীয় পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। ট্রান্সফার ফি’সহ খেলোয়াড়দের বেতনও দেওয়া হবে পিআইএফ ফান্ড থেকে।

এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, সৌদি লিগের ক্লাবগুলো খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বাবদ চলতি গ্রীষ্মে ৪৮ কোটি ডলার ব্যয় করেছে। এর ফলে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে ব্যয়বহুল লিগের কাতারে চলে গেছে সৌদি ফুটবল লিগ। কেবল ফুটবলই নয়, গলফ, ফর্মুলা ওয়ান মোটর রেসিং, বক্সিংসহ আরও বেশকিছু খেলায় তারা বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করছেন। সৌদি যুবরাজের লক্ষ্য, খেলাধুলার মাধ্যমে সৌদি আরবকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরা এবং ৩ কোটি ৬০ লাখ জনসংখ্যার দেশটি সম্পর্কে মানুষের মনোভাব বদলানো।

সৌদি লিগের ক্রমবর্ধমান এই প্রসার সম্পর্কে প্যারিসের স্পোর্টস ও জিওপলিটিক্যাল ইকোনমির অধ্যাপক সিমন চাদউইক বলেন, ‘ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পর্যায়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে সৌদি আরব। ইতোমধ্যে গণমাধ্যমের পূর্ণ নজরও তারা কেড়ে নিয়েছে। আমি শঙ্কিত যে এরপর মানুষ বলে বসে কিনা, আমরা কোথায় সৌদি প্রো লিগের খেলা দেখব।’

সৌদি আরবের কী লাভ, কী ক্ষতি?

যুবরাজ এমবিএস সৌদি সরকারের কর্তৃত্ব তুলে নেওয়ার পর রক্ষণশীল মনোভাব বদলে আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের দিকে মনোযোগ দেন। এর মাধ্যমে বহির্বিশ্বের মানুষের মনোযোগ আকর্ষণে শরীয়াহ বিধি-নিষেধেও পরিবর্তন আনেন তিনি। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সৌদি আরব নারীদের কিছুটা স্বাধীনতা দেয়। দেশটিতে নারীরা এখন গাড়ি চালাতে পারেন এবং ফুটবল ম্যাচ স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখার অনুমতিও মিলেছে। সৌদি আরবে এমনিতে নারীদের কালো কাপড়ের পোশাক ‘আবায়া’ পরতে হয়, যা পুরো শরীর ঢেকে রাখে। এর পাশাপাশি হিজাবও পরতে হয় তাদের। সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি সরকার নিয়ম করেছে, বিদেশি নারীদের এ নিয়ম মানা বাধ্যতামূলক নয়।

তবে বাস্তবে নিয়মটি এখনও পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলে আসছে। তবে খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে এসব নিয়ম শিথিল করতে দেখা যাচ্ছে। বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ না হওয়া সত্ত্বেও তাদের একসঙ্গে থাকার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল আগেই। এবার নেইমার ও তার বান্ধবী ব্রুনা বিয়ানকার্দির জন্যও একই নিয়মগুলো শিথিল থাকার কথা জানা গেছে। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে সমুদ্রসৈকতের নির্দিষ্ট অংশ বা জায়গা নিয়ে নিজেদের মতোও ব্যবহার করতে পারবেন এসব বিদেশি ফুটবলাররা। যেখানে নিজেদের মতো পার্টি, অ্যালকোহল সেবন এবং বিকিনি পরার মতো স্বাধীনতা পাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

অন্যদিকে, আমেরিকান সংবাদমাধ্যম ‘দ্য অ্যাথলেটিক’ এসব ঘটনার পাশাপাশি মুসলিম ফুটবলারদেরও বড় একটি অংশকে সৌদি দলগুলোতে যুক্ত করার বিষয়টি সামনে এনেছে। এর মাধ্যমে তারা বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা এবং সৌদি সরকারের বিপক্ষে যেন অভিযোগের আঙুল তুলতে না পারে, সেই ব্যবস্থাও করে রেখেছে। কেননা সৌদিতে ফুটবলের এমন বিস্তারকে পশ্চিমাকরণ এবং সেক্যুলারাইজেশনের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন দেশটির রক্ষণশীল নাগরিকরা। সে কারণে বেনজেমা, কান্তে, মুসা ডেম্বেলেসহ মুসলিম ধর্মাবলম্বী ফুটবলারদের বাড়তি সমাদর দেখাচ্ছে সৌদি ক্লাবগুলো। যাদের জন্য ক্লাবের নিকট দূরত্বে মসজিদ ও মুসলিম সংস্কৃতি পালনের উপযুক্ত ব্যবস্থাও রয়েছে।

লিগ সিস্টেম ও সম্প্রচার ব্যবস্থা

সৌদির ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ প্রতিযোগিতার আসর সৌদি প্রোফেশনাল লিগ (এসপিএল বা প্রো লিগ)। বিশাল সব অঙ্কে বড় তারকা ফুটবলারদের দলে টানার মাধ্যমে বর্তমানে লিগটি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় আয়োজনে পরিণত হয়েছে। সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের দেওয়া তথ্যমতে, অন্তত ৪০টি দেশের ফুটবলার লিগটির বিভিন্ন দলের হয়ে খেলছেন। এছাড়া চলমান ২০২৩-২৪ মৌসুম থেকে এসপিএলে দলের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮-তে।

এসপিলের খেলোয়াড় রিক্রুটমেন্ট বিভাগের প্রধান মিকায়েল এমেনালো এই খাতে বড় অঙ্কের বাজেট বরাদ্দের কথা বলেছেন, তবে তিনি সঠিক সংখ্যাটি প্রকাশ করেননি। তার কথার সূত্র ধরে এ কাজে সীমাহীন বাজেট রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে গার্ডিয়ান। লিগের কোনো দলের সঙ্গে যদি নির্দিষ্ট ফুটবলার কথা বলতে রাজি হন, তার চাহিদামাফিক অর্থ দিয়ে থাকে পিআইএফ। কেবল খেলোয়াড়ই নন, এই বাজেট কোচ, নির্বাহী কর্মকর্তা থেকে শুরু করে অধস্তন এবং মার্কেটিং খাতেও ব্যয় করা হয়।

এসপিএলের ম্যাচগুলো সরাসরি উপভোগের ক্রমবর্ধমান চাহিদার পর সম্প্রতি সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান ডিএজেডএন এবং ফক্স স্পোর্টসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে লিগ কর্তৃপক্ষ। ডিএজেডএন সাধারণত যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও অস্ট্রিয়ায় লাইভ ম্যাচ সম্প্রচার করবে। সংস্থাটির সঙ্গে ৫ লাখ ডলারের বিনিময়ে এক বছরের চুক্তি সম্পন্ন করেছে এসপিএল। আমেরিকা ও কানাডা অঞ্চলে ম্যাচ দেখাবে ফক্স স্পোর্টস। এছাড়া ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশে খেলা দেখা যাবে ক্যানাল প্লাস,  মার্কা, লা সেভেনসহ বেশকিছু সম্প্রচার মাধ্যম রয়েছে।

ভারতীয় উপমহাদেশে রোনালদো-নেইমারদের ম্যাচগুলো সম্প্রচার করবে সনি টিভি নেটওয়ার্কস। দক্ষিণ কোরিয়ার স্পো-টিভির মাধ্যমে জাপান, মালয়েশিয়াসহ উত্তর-দক্ষিণ এশিয়ান দেশগুলোতে এসপিএলের উপস্থিতি থাকবে। সবমিলিয়ে আইএমজি মিডিয়ার মাধ্যমে অন্তত ১৩০টি অঞ্চলে প্রচারিত হবে এসপিএল। অবশ্য এর আগে থেকেই মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকান দেশগুলোতে এসপিএলসহ সৌদি সুপার কাপ ও কিং কাপের ম্যাচগুলো সৌদি স্পোর্টস করপোরেশন সম্প্রচার করে আসছে।

ইউরোপীয়দের কপালে চিন্তার ভাঁজ

প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল আমেরিকা, চায়না কিংবা রাশিয়ার মতো অখ্যাত ফুটবল রাজ্য গড়ে উঠবে সৌদি আরবে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে রোনালদো আল-নাসরে যাওয়ার পর তাকে নিয়ে অনেকেই হাসাহাসি করছিলেন। অল্প সময়ের ব্যবধানে সেই হাসিমুখ আর থাকেনি ইউরোপীয়দের। একের পর এক তারকা ফুটবলারদের সৌদিতে যাওয়ার লাইন তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। এছাড়া তাদের আরেকটি বড় চিন্তার বিষয় সৌদি লিগে দলবদলের বাড়তি সময়। সৌদি লিগের দলবদলের বাজার বন্ধ হবে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর। অথচ চলতি আগস্টের সঙ্গে সঙ্গেই ইউরোপীয় লিগগুলোয় খেলোয়াড় বিকিকিনির সময় শেষ হয়ে যাবে।

এসব বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন পেপ গার্দিওলা, ইয়ুর্গেন ক্লপ ও এরিক টেন হাগদের মতো শীর্ষ ক্লাবের কোচরা। এর মধ্যে সৌদি লিগ নিয়ে সতর্ক হওয়ার বার্তা দিয়েছেন গার্দিওলা ও ক্লপ। বিশেষ করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগসহ অন্য ইউরোপীয় লিগগুলোর দলবদল শেষ হওয়ার পর সৌদি দলবদলের বাজার খোলা থাকা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ক্লপ, ‘এ মুহূর্তে বিষয়টি বড় হয়ে উঠেছে। আমার মতে, সবচেয়ে বাজে ব্যাপার হচ্ছে, সৌদি লিগের দলবদলের বাজার আরও বেশি সময় খোলা থাকবে।’

ম্যানচেস্টার সিটির কোচ গার্দিওলার মতে, ‘ভবিষ্যতে আরও সেরা মানের খেলোয়াড় সেখানে যাবে। এজন্য ক্লাবগুলোর সতর্ক হওয়া দরকার যে কী ঘটতে চলেছে। রিয়াদ মাহরেজ অবিশ্বাস্য প্রস্তাব পেয়েছে। এ কারণে আমরা ওকে “যেয়ো না” বলতে পারিনি।’

একাধিক ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো ইউরোপের দলবদলের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর সৌদি আরবের ক্লাব যেন খেলোয়াড় নিয়ে যেতে না পারে, সেজন্য ফিফার শরণাপন্ন হতে যাচ্ছে। সৌদি লিগের দলবদলের সময়সীমা আরও এগিয়ে আনার দাবি করবে তারা। মূলত লিভারপুল কোচ ক্লপের উদ্বেগ প্রকাশের পর থেকেই বিষয়টি সামনে এসেছে এবং বাকি ক্লাবগুলোও বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছে। ক্লাবগুলোর ফেডারেশন এফএ-র মাধ্যমে এই দাবি জানানোর কথা রয়েছে ফিফার কাছে। – ঢাকা পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!