নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়ায় অনভিজ্ঞ ধাত্রীর ভুল চিকিৎসায় ইয়াসমিন আকতার (২০) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কালিয়াইশ ইউনিয়নের রসুলাবাদ আবদুল মালেক কোম্পানির বাড়ি এলাকায় ছায়ানীড় নামের বাড়িতে গড়ে উঠা একটি অবৈধ ক্লিনিকে এঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালের দিকে চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভাধীন দিয়াকুল আশ্রায়ন প্রকল্প এলাকায় বসবাস করা ছমির উদ্দীনের মেয়ে ইয়াসমিন আকতার প্রসব বেদনা উঠার পর উক্ত ক্লিনিকে নিয়ে যায় স্বজনরা। ক্লিনিকের মালিক ধাত্রী নার্গিস আকতার কোন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই ইনজেকশন পুশ করার ৩ ঘন্টা পর স্বাভাবিকভাবে ইয়াসমিন একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। কিন্তু বাচ্চা প্রসবের পর শুরু হওয়া রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পারায় প্রসূতির অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে। একপর্যায়ে অবস্থার অবনতি ঘটলে ধাত্রী নার্গিস স্বজনদেরকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয় এবং নিজেই এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে এনে দিয়ে চমেক হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। কিন্তু সেখানে নেয়ার পথে স্বজনরা ইয়াসমিনের সাড়াশব্দ না পেয়ে পটিয়াস্থ সেন্ট্রাল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ইয়াসমিনের স্বামী মোহাম্মদ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, তার স্ত্রীর রক্তশূন্যতাসহ নানা জটিলতা থাকার বিষয়টি জেনেও ভুল চিকিৎসার মাধ্যমে প্রসব করাতে গিয়ে স্ত্রীকে মেরে ফেলা হয়েছে।
এব্যাপারে ধাত্রী নার্গিস আকতার সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন, গতকাল বেলা ১১টায় রোগীকে তার কাছে আনার পর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বাচ্চা এবং মা দুইজনই দুর্বল বলে স্বজনদের জানানো হয়। তাদের অনুরোধে চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করে ডেলিভারি ইনজেকশন দিলে প্রসব বেদনা উঠে। তিন ঘন্টা পর একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেয়। তখন মা ও মেয়ে দু’জনই সুস্থ ছিল। পরবর্তীতে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে চমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন তিনি নিজেই। রোগীর স্বজনরা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হওয়ায় তিনি নিজেই এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে রোগীকে চমেক হাসপাতালে পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সাধারণত তাদের নিকট গরীব এবং অসচেতন মানুষ আসেন। তাই তারা না জেনে ভুল বুঝে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করেছে। তাছাড়া রোগী তার ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়নি বলেও দাবি করেন এ ধাত্রী।