লোহাগাড়ায় থানা হেফাজত থেকে আসামি পালানোর ঘটনায় ওসিসহ ৪ পুলিশকে প্রত্যাহার

এলনিউজ২৪ডটকম: লোহাগাড়া থানা হেফাজত থেকে সাইফুল ইসলাম (৩৩) নামে এক আসামি পালানোর ঘটনায় ওসিসহ ৪ পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ডিএসবি চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত এক ফ্যাক্স বার্তা সূত্রে এই তথ্য জানা যায়। আসামি সাইফুল ইসলাম উপজেলার কলাউজান ইউনিয়নের ৭ নাম্বার ওয়ার্ডের বলিপাড়ার নজির আহদের পুত্র ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা।

স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পদবী বিহীন যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম এলাকার সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছিল। সরকার পতনের পর সাইফুল আত্মগোপনে চলে যায়। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে গোপনে সংবাদের ভিত্তিতে একই ইউনিয়নের বাংলা বাজারের দক্ষিণ পাশে বাহাদুর পাড়ায় আবদুল আলমের বাড়ি থেকে তাকে আটক করে স্থানীয়রা। সকাল ৯টার দিকে তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ আসামি বুঝে নিয়ে স্থানীয়দের চলে যেতে বলেন। এর কিছুক্ষণ পর স্থানীয়রা জানতে পারেন পুলিশ হেফাজত থাকা অবস্থায় আসামি সাইফুল পালিয়ে গেছে।

স্থানীয় তৌহিদুল ইসলাম আরাফাত, তৌহিদ ও মো. মফিজসহ একাধিকজন জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যুবলীগ নেতা সাইফুলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল এলাকাবাসী। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। স্থানীয়রা সাইফুলকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। পুলিশের সহযোগিতায় আসামি সাইফুল ইসলাম পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বলে তারা দাবি করছেন।

এদিকে, ঘটনার পর একইদিন জনগণ কর্তৃক ধৃত একজন আসামি লোহাগাড়া থানা হেফাজত হতে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাশেদুল ইসলাম, এসআই নাছিমা আক্তার, এসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল এম এনামুল হককে প্রত্যাহার পূর্বক চট্টগ্রাম পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলায় যোগদানকৃত পুলিশ পরির্দশক আরিফুর রহমানকে লোহাগাড়া থানায় নতুন অফিসার ইনচার্জ হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। এছাড়া পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাতকানিয়া সার্কেলের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে জেলা গোয়েন্দা শাখার দুটি টিমও অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানা গেছে।

সাতকানিয়া থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান জানান, পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামিকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।