এলনিউজ২৪ডটকম: লোহাগাড়ার চুনতিতে মো. ইসমাইল (৪৮) নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করেছে একদল দুর্বৃত্ত।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কস্থ চুনতি বাজার সন্নিকটে বাড়িঘাটা এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।
অপহৃত ইসমাইল ইউনিয়নের ২ নাম্বার ওয়ার্ডের আবদুর রহমান হাফেজ পাড়ার দুলা মিয়ার পুত্র। একইদিন মুক্তিপণ দিয়ে বেলা ৩টার দিকে কক্সবাজারের লিংক রোড এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ব্যবসায়ী ইসমাইলের পুত্র আবদুল আউয়াল আব্রার জানান, তার পিতা চুনতি বাজারে একটি কুলিং কর্ণার করেন। প্রতিদিন দূরপাল্লার বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা তার পিতার কুলিং কর্ণারের সামনে গাড়ি থামিয়ে চা-নাস্তা খান। এইজন্য গভীর রাত পর্যন্ত কুলিং কর্ণারটি খোলা থাকে।
ঘটনার রাতে তার পিতা কুলিং কর্ণার বন্ধ করে বাড়িতে ফিরছিলেন। এই সময় তার পিতা বাড়িঘাটা এলাকায় পৌঁছলে আগে থেকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মাইক্রোবাস থেকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার পিতাকে গাড়িতে তুলে নেয়।
এরপর দুর্বৃত্তরা মাইক্রোবাসটি চুনতি বাজার থেকে জাঙ্গালিয়া এলাকা পর্যন্ত একাধিকবার যাওয়া-আসা করে। এরমধ্যে দুর্বৃত্তরা তার পিতার কাছে যা ছিল সব নিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে চুনতি বাজারে এসে পাহারাদারকে জিম্মি ও তার পিতাকে গাড়ির ভেতর বসিয়ে রেখে কুলিং কর্ণারের চাবি নিয়ে তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত।
সেখানে ক্যাশবক্সে থাকা নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকা ও অন্য আরেকজনের আমানত রাখা কিছু টাকা নিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। এরপর দুর্বৃত্তরা তার পিতাকে মাইক্রোবাসযোগে বিভিন্নস্থানে ঘুরিয়ে কক্সবাজারের রামুর গভীর পাহাড়ে নিয়ে যায়।
সেখানে তার পিতার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। অন্যথায় অপহরণকারীরা অন্য আরেকটি গ্রুপকে তার পিতাকে বিক্রি করে দিবে বলে জানায়। অপহরণকারীদের জিম্মায় থেকে মোবাইল ফোনে তার পিতা বিষয়টি পরিবারকে জানায়।
এরপর অপহরণকারীদের সাথে দর কষাকষিতে এক লাখ টাকায় তার পিতাকে মুক্তি দিতে রাজি হয়। পরে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অপহরণকারীরা মুক্তিপণের টাকা নিয়ে তার পিতাকে মুক্তি দেয়।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ পূর্বক পর্যবেক্ষণ করা হয়। পরে ভিকটিমের পরিবার থেকে জানানো হয়েছে অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহৃত ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিস্তারিত ঘটনা শুনে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।