বিচিত্র সঞ্চয়
১)
পাহাড়-সমান দুঃখগুলো
ঝর্ণা-সমান কান্না হয়ে ঝরে,
গরদের চাদরে ঢাকা মলিনতাগুলো
কাঁচা সোনার রঙ হয়ে জ্বলে।
অপরিচয়ের অবগুন্ঠন সরানো মুখগুলো
বর্শাফলকের মতো তীক্ষ্ণ শীর্ষ ধারণ করে,
মেঘের আবরণ সরিয়ে জাগে বর্ণাঢ্য আকাশ
বিচিত্র সঞ্চয়গুলো অক্ষরে আবদ্ধের চেষ্টা চলে মাত্র।।
২)
প্রেমে পড়া চাই
প্রতি ক্ষণে প্রতিবার,
দায়বদ্ধ থাকা চাই
প্রতি কাজে প্রতিবার।
ঋজুতা রাখা চাই
প্রতি পদে প্রতিবার,
স্বপ্ন বোনা চাই
প্রতিনিয়ত প্রতিবার।।
৩)
যতটা নারীপ্রেমী
তার অধিক পুরুষপ্রেমী
বলতে কেনো এতো দ্বিধা ?
আরোপিত বিধিনিষেধ নয়
প্রবহমান অন্তঃস্রবণ করে নির্ধারণ
কোনদিকে ঝুঁকবে কার মন!
নিকুচি করি সমাজ-নির্ণীত
চাপিয়ে দেয়া প্রকাশের দিনক্ষণ!
পথিক
পথ হারাবে বলে,
পথে আর নামেনা পথিক।
সহসাই পৌঁছে যায় উদ্দিষ্ট গন্তব্যে
পথিক আর হারায়না তার পথ
অবান্তর হয়ে পড়ে প্রশ্ন করা,
‘পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছো কী?’
নর্তকী
পুরুষ্টু স্তনের অভিলাষী দোলে
শিল্পিত বাহুর আকুল কারুকাজ
আমাকে কোথায় নিয়ে যাও নর্তকী?
সভ্যতার মুখোশে ধরেছি যে বুজরুকি!
নৃত্যের ছলাকলায় কী কথা করো গোপন
সবাক ওই শরীরের হয়নি কি কেউ আপন?
চারু চোখের ইশারায় কী কথা বলো তুমি
সহজলভ্য দেহের প্রেমেতে মজেছি আমি!
গুরু নিতম্বের কম্র ঝাঁকুনিতে
মসৃণ ঊরুর ক্ষুধিত কম্পন
আমাকে বহু দূরে নিয়ে যাও নর্তকী
হ্যাঁচকা টানে আজ ছাড়বো যত বুজরুকি!