নিউজ ডেক্স : নগরের হালিশহর ছোটপুল এলাকায় ড্রেনের ভেতর থেকে আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী এক নারীর বস্তাবন্দি গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের পর মাথাও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৯ অক্টোবর) ভোররাতে বেপারীপাড়া পইট্টাদীঘির পশ্চিম পাশে কবরস্থানের ঝোপের ভেতর থেকে ওই নারীর মাথা উদ্ধার করা হয় বলে জানান হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম ওবায়দুল হক।
এর আগে নিহত সুমি ইসলামের স্বামী মো. জাহিদ হোসেন রাজু (২৮) সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে ওই নারীর মাথা উদ্ধার করে হালিশহর থানা পুলিশ।
গ্রেফতার অপর দুইজন হলেন-আবদুল জলিল ও তার স্ত্রী ফেরদৌস। তারা সুমির প্রতিবেশী।
সুমি ইসলাম খুলনার পোটপাড়া এলাকার শহিদুল ইসলামের মেয়ে। স্বামী জাহিদ হোসেন খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা এলাকার হারুনুর রশিদের ছেলে। গত দেড় বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। সুমি সিডিএ আবাসিক এলাকায় একটি বুটিক হাউজে চাকরি করতেন। তারা ছোটপুল এলাকায় ভাড়া থাকতেন বলে জানায় পুলিশ।
হালিশহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বদরুল কবির বলেন, গ্রেফতারের পর জাহিদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের কথা শিকার করে জড়িত অন্যদের নামও বলেছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
জাহিদ পুলিশের কাছে দাবি করেছে, দাম্পত্য কলহ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। বিয়ের পর থেকে সুমির সঙ্গে জাহিদের বনিবনা হচ্ছিল না । বিভিন্ন জনের সঙ্গে সুমির মেলামেশা নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো।
শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্থানীয়দের খবরে ছোটপুল এলাকায় সড়কের নিচে ড্রেনের ভেতর থেকে সুমি ইসলামের বস্তাবন্দি গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে পু্লিশ বাদি হয়ে হালিশহর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
সূত্র : বাংলানিউজ