এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও ইটভাটার কাঁচামাল মাটি পরিবহণের ফলে সৃষ্ট ধুলা আর ফিটনেসহীন গাড়ির ধোঁয়াতেই দিন দিন ধূসরে পরিণত হচ্ছে । বাতাসের সাথে পাল্লা দিয়ে ভাসমান ধুলোয় বাড়ছে বায়ু দূষণ। এতে প্রতিদিন শ্বাসজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন লোহাগাড়াবাসী। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে নবজাতকের ওপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, যেখানে সেখানে ময়লার স্তূপ পড়ে আছে। রাস্তার কোল ঘেষে কেউ কেউ ইট-বালুর স্তূপ করে রেখেছেন। পিচঢালা সড়ক কম থাকায় ওই সব এলাকার অধিকাংশ এলাকার মাটির রাস্তা এখন ধুলোময়। এতে করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা ধুলোবালির দূষণে শ্বাসতন্ত্রজনিত (অ্যাজমা) রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
উপজেলার ব্যস্তময় উপশহর বটতলী মোটর ষ্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর পাশেও রয়েছে ধুলোর স্তূপ। শুষ্ক এই মৌসুমে বাতাসের বেগ একটু বেড়ে গেলেই ধুলো ভাসতে থাকে নগর জুড়ে। এতে পথচারীদের পাশাপাশি বিভিন্ন যানবাহনে থাকা যাত্রীরা বায়ু দূষণের শিকার হচ্ছে। এই ধুলোবালির পরিমাণ দিন দিন বেড়ে চলেছে। এতে করে বাতাসের সাথে ভেসে বেড়ানো ধুলোবালিতে আক্রান্ত হচ্ছেন এলাকাবাসী।
চিকিৎসকদের মতে, প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার মানুষ অ্যাজমা তথা শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন। শীতকাল ছাড়াও এখন শুষ্ক মৌসুমেও বাড়ছে অ্যাজমা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। নবজাতকও এখন অ্যাজমা বা শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
চিকিৎসকরা আরো জানান, অ্যাজমা এখন আর শীতকালীন রোগ নয়। বায়ুদূষণের কারণে সারা বছরই এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বায়ুদূষণ রোধে শিগগিরই জোরালো ব্যবস্থা না নিলে অ্যাজমা প্রকোপ ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সচেতন মহল।