ফিরোজা সামাদ : শ্রাবণের কৃষ্ণতিথির শেষ রাত। গর্জে উঠে কামান রাইফেল। সবুজ ট্যাঙ্ক দেখেছি একাত্তরে। অাবার দেখেছি পনের অাগষ্ট ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বর বাড়ীর চারিপাশে।
বাংলার দেশ প্রেমিক, বাংলার জনকের বুক বুলেটে ঝাঁজরা হয়ে রক্তের নদী বইয়ে দিলো রাক্ষসরা, লাল সবুজের পতাকায় ও বাংলার মানচিত্রে ! স্বপরিবারে হত্যা করলো ওরা শিশু রাসেল ও অনাগত সন্তানসহ। ইতিহাসে এমন বিরল হত্যার কোনো কাহিনী জানিনা।

পাকিস্তানি হায়েনা ভয়ে যা করতে পারেনি , ওদের হাতে কাঁপণ ধরেছিলো। বাংলার মাটিতে তাদের দোসর সেই হৃদয় বিদারক কাজটি করলো স্বদর্পে, অহঙ্কারে, উল্লাসে, পিশাচের মতো !
ওদের অাখ্যায়িত করার কোনো ভাষা, কোনো শব্দ সৃষ্টি হয়নি অাজো, স্বাধীনতাকে হত্যা করে ওরা কবর দিলো ষোলো কোটি বাঙালিকে। অাজ বাংলা মৃত্যূ উপত্যকা। হায়েনারা নৃত্য করে বেড়াচ্ছে, চলছে উলঙ্গ উম্মাত্ত পাগলের মতো। নেই যেনো লজ্জা, বিবেক, বোধ অস্তিত্ব !!
এ লজ্জা সারা বাঙালি জাতির। এ লজ্জা অামাদের কাণ্ডারীর, এ লজ্জা অাগামী প্রজন্মের। এমন একদিন হয়তো অাসবে প্রজন্মের বিবেকের অাদালতে দাড়িয়ে। জবাবদিহি করতে হবে অামাদের । সেই জবাবের জন্য এখুনি প্রস্তুতি নিন। কারন ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনি অার ভবিষ্যতেও করবেনা !!