নিউজ ডেক্স : নগরের কোতোয়ালী থানার পুলিশের হেফাজত থেকে আবুল কালাম নামে এক আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার দায়ে পুলিশের তিন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হচ্ছে। রোববার (৫ ডিসেম্বর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপিলটন পুলিশ (সিএমপি) দক্ষিণের ডিসি জসিম উদ্দীন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় এডিসির নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটি প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে কর্তব্যে অবহেলার দায়ে পুলিশের এক সাব-ইন্সপেক্টর ও দুই কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। পালিয়ে যাওয়া আসামি আবুল কালামকে ধরার জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তা ছাড়া গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে। সাসপেন্ড হওয়া পুলিশের দুই কনস্টেবল শাহাদাত ও নজরুলের নাম জানা গেলেও সাব-ইন্সপেক্টরের নাম জানা যায়নি।
পলাতক আসামি মিয়ানমারের নাগরিক। তিনি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার লেদা পাড়ার রোহিঙ্গা শরণার্থী। তার বাবার নাম হামিদ হোছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) দক্ষিণের ডিসি জসিম উদ্দীন।
কোতোয়ালী থানা সূত্রে জানা যায়, নগরের কোতোয়ালী থানার কদমতলী মোড়ের উত্তর পাশে ফরিদের চায়ের দোকান থেকে ১ হাজার ৫০ পিস ইয়াবাসহ আবুল কালামকে রোববার (৫ ডিসেম্বর) আটক করে চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বিভাগীয় গোয়েন্দা শাখা। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বিভাগীয় গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ্দ টিপু সুলতান বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন। আসামি আবুল কালামসহ কোতোয়ালী থানা থেকে একাধিক আসামি আদালতে আনা হয়। আদালতে সেরেস্তায় আসামির নাম ঠিকানা মেলানোর সময় আবুল কালামকে পাওয়া যায়নি। থানা থেকে আদালতে নেওয়ার কোনো একসময় আবুল কালাম পালিয়ে গেছে। বাংলানিউজ