ব্রেকিং নিউজ
Home | ব্রেকিং নিউজ | সৌদি নাগরিকত্ব পাওয়ায় লোহাগাড়ার মুখতারকে কাবার ইমামের অভিনন্দন

সৌদি নাগরিকত্ব পাওয়ায় লোহাগাড়ার মুখতারকে কাবার ইমামের অভিনন্দন

শায়খ মুখতার আলমকে সম্মাননা পদক তুলে দিচ্ছেন পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালনা পর্ষদের প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান আল সুদাইস।

এলনিউজ২৪ডটকম : বাদশাহ সালমানের রাজকীয় নির্দেশনার প্রথম দিনে সৌদির নাগরিকত্ব পাওয়ায় বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত লোহাগাড়ার সন্তান মুখতার আলমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন গ্র্যান্ড মসজিদের পরিচালনা পর্ষদের প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান আল সুদাইস।

রোববার (১৪ নভেম্বর) মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে জেনারেল প্রেসিডেন্সির অফিসে শায়খ মুখতার আলমকে সম্মাননা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। শায়খ সুদাইস তাঁকে অ্যারাবিক ক্যালিগ্রাফি বিষয়ে অ্যাকাডেমি পাঠ প্রণয়ন ও পবিত্র কাবার গিলাফের ক্যালিগ্রাফার তৈরিতে একটি ইনস্টিটিউট গঠনের আহ্বান জানান।

পৃথিবীর অন্যান্যা ভাষার মধ্যে আরবি ভাষার ক্যালিগ্রাফির অনন্য সৌন্দর্যের প্রতি গুরুত্বরোপ করে শায়খ সুদাইস বলেন, ‘আরবি ভাষার নান্দনিকতার প্রতি জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগ সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আরবি ক্যালিগ্রাফি শিল্প চর্চার সব দেশের সুদক্ষ নাগরিকদের সুপ্ত প্রতিভাবে বিকাশে জেনারেল প্রেসিডেন্সি সব ধরনের সহায়তা করে।’

গত ১১ নভেম্বর সৌদি বাদশাহ সালমানের এক রাজকীয় নির্দেশনায় বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা জানানো হয়। এদের মধ্যে প্রথম দিন ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, ইতিহাসবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও চিকিৎসক, বিনিয়োগকারক, প্রযুক্তিবিদ, ক্রীড়াবিদসহ পাঁচ বিদেশি নাগরিক আছেন। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ঘোষিত ‘ভিশন-২০৩০’-এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন পেশার দক্ষ বিদেশিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার এ রাজকীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।

জানা যায়, মুখতার আলম ১৯৭৭ সালে পবিত্র কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেন। ১৯৯২ সালে মক্কার বিখ্যাত উম্মুল কোরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিল্পকলা বিষয়ে ¯œাতক ও ২০০১ সালে ¯œাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। বর্তমানে পিএইচডি গবেষণারত। ১৯৯৫ সাল থেকে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিল্পকলা বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। ২০০২ সাল থেকে পবিত্র কাবা ঘরের গিলাফ (কিসওয়াহ) প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত তিনি আরবি ক্যালিগ্রাফি পেশায় কাজ করছেন। এছাড়া তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপ্লোমা, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের সার্টিফিকেটের ক্যালিগ্রাফার হিসেবেও কাজ করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সংস্থা থেকে অসংখ্য পুরস্কার ও প্রশংসার সনদ পেয়েছেন তিনি।

মুখতার আলম উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের রশিদের ঘোনা কবির মোহাম্মদ সিকদার পাড়ার মৃত মফিজুর রহমানের পুত্র। তারা ৪ ভাই ১ বোন। মুখতার আলম সবার বড়। অন্যরা হলেন- মোরশেদ আলম, মমতাজ আলম, মোহাম্মদ আলম ও ফাতেমা বেগম। মুখতার আলম হাটহাজারী থেকে বিয়ে করেছেন। তিনি বর্তমানে স্ত্রী ও চার কন্যাসন্তান নিয়ে সৌদি আরবের মক্কায় বসবাস করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!