ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | নাম সর্বস্ব পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন না দেয়ার সিদ্ধান্ত

নাম সর্বস্ব পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন না দেয়ার সিদ্ধান্ত

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

নিউজ ডেক্স : নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধনের জন্য ১৯৯টি সংস্থা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে। এরআগে ইসির নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা ছিল ১২০টি। এসব সংস্থা ২০১১ সালে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন লাভ করে এবং ওই নিবন্ধনের মেয়াদ ছিল গত ৩০ জুন পর্যন্ত। কমিশন নতুন করে নিবন্ধন দেয়ার জন্য আগ্রহী সংস্থাসমূহের কাছে গত ২৩ অক্টোবর দরখাস্ত আহ্বান করে। এছাড়া এ বিষয়ে আগের নীতিমালা সংশোধন করে গত ২৬ সেপ্টেম্বর নতুন নীতিমালাও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এদিকে এবারে নাম সর্বস্ব কোনো পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এজন্য নীতিমালায় কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। এ নীতিমালা অনুসারে গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে আসছে এবং যাদের নিবন্ধিত গঠনতন্ত্রের মধ্যে এইসব বিষয়সহ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে নাগরিকদের মধ্যে তথ্য প্রচার ও উদ্বুদ্ধ করণের অঙ্গীকার রয়েছে, শুধুমাত্র সেইসব বেসরকারি সংস্থাই নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হওয়ায় অগ্রধিকার পাবে। এছাড়া নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন বা আছেন কিংবা নিবন্ধন পাওয়ার জন্য আবেদন করা সময়ের মধ্যে কোন নির্বাচনের প্রার্থী হতে আগ্রহী ব্যক্তির সংস্থাও এবারে নিবন্ধন পাবেন না।
নবম সংসদ নির্বাচনের পূর্বে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও), ১৯৭২ সংশোধন করে প্রথমবারের মতো নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোকে নিবন্ধন দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করলে ৩১৯টি সংস্থা এ বিষয়ে আবেদন করে। এরমধ্যে বাছাই করে নির্বাচন কমিশন ওই বছরের  ১৩ নভেম্বর ১৩৮টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করে। ওই তালিকার ২৪টি সংস্থার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আপত্তি জানায় এবং সংস্থাগুলোকে নিবন্ধন না দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করে। আওয়ামী লীগ আপত্তি জানায় ২০টি সংস্থার বিরুদ্ধে। আর বিএনপি আপত্তি জানায় চারটি সংস্থার বিরুদ্ধে। তবে নির্বাচন কমিশন সে সময় ওইসব সংস্থার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের প্রমাণ পায় নি।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রস্তাব ছিল, নির্বাচনে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কোন ভাবেই কোন বিশেষ দল বা ব্যক্তির প্রতি আনুগত্যশীল হিসেবে পরিচিত বা চিহ্নিত ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সংস্থাকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দায়িত্ব  দেয়া যাবে না। -ইত্তেফাক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!