ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | ধর্মীয় স্থাপনা-বাড়িঘর তৈরি, জানাতে হবে ইউনিয়ন পরিষদকে

ধর্মীয় স্থাপনা-বাড়িঘর তৈরি, জানাতে হবে ইউনিয়ন পরিষদকে

নিউজ ডেক্স : ইউনিয়ন পর্যায়ে মাস্টার প্ল্যান তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ধর্মীয় স্থাপনা বা বাড়িঘর তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদকে অবহিত করতে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সব জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়ে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পরামর্শে সম্প্রতি এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা বাড়ি করতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনুমতির প্রয়োজন পড়বে না।

চিঠিতে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৪৭ মোতাবেক দ্বিতীয় তফসিলে ইউনিয়ন পরিষদের ৩৯টি দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। এরমধ্যে এসব দায়িত্বের মধ্যে ২২ নম্বরে ইউনিয়নে নতুন বাড়ি, দালান নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ এবং বিপজ্জনক দালান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের ওপর অর্পিত।

এছাড়া সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী যতদিন পর্যন্ত ইউনিয়ন পর্যায়ে মাস্টার প্ল্যান তৈরি হবে না ততদিন পর্যন্ত ধর্মীয় স্থাপনা বা বাড়িঘর তৈরি করতে ইউনিয়ন পরিষদকে অবহিত করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

‘এমতাবস্থায়, যতদিন পর্যন্ত ইউনিয়ন পর্যায়ে মাস্টার প্ল্যান তৈরি হবে না ততদিন পর্যন্ত ধর্মীয় স্থাপনা বা বাড়িঘর তৈরির পূর্বে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদকে অবহিত করতে হবে। এই মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। ’

স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গ্রামের সৌন্দর্য রক্ষা এবং কৃষি জমি রক্ষায় যত্রযত্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা বাড়িঘর বা কোনো স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এজন্য একটি রোডম্যাপ বা মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হবে বলে গত ২৫ মার্চ সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জানানো হয়। সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন এলাকাকে একটি পরিকল্পনার আওতায় আনতে এই রোডম্যাপ প্রণয়নের উদ্যোগ নেয় মন্ত্রণালয়।

এই রোডম্যাপ প্রণয়নের আগে কোথাও কোনো ধর্মীয় স্থাপনা বা বাড়ি নির্মাণ করতে হলে সংশ্লিষ্টদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনুমতি বা ছাড়পত্র নিতে হবে বলে সভায় জানানো হয়। এই রোডম্যাপ প্রণয়ন করার আগে কোনো ব্যক্তি চাইলেই যত্রযত্র কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা বাড়িঘর বা কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না। কোনো স্থাপনা করার ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের অনুমতি নেয়ার সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি।

গ্রাম-গঞ্জে বাসা-বাড়ি, দোকানপাট, মসজিদ-মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লাব কিংবা অফিস-আদালতসহ যে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করতে একটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়ে আসছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ দর্শনের ফলে শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে পৌঁছে দিচ্ছে সরকার। তাই গ্রামকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে হবে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন আসতেই পারে। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে গ্রামে অপরিকল্পিতভাবে অবকাঠামো নির্মাণ ঠেকানো যাবে না।

তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদকে এ বিষয়ে ক্ষমতায়ন করার পর তারা যাতে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে না পারে সেজন্য উপজেলা পরিষদকে সংযুক্ত করা হবে। কেউ যদি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনো অবস্থায় পূর্ব অনুমতি ব্যতীত কৃষি জমিতে বাড়ি-ঘর বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান/স্থাপনা নির্মাণ করতে দেওয়া যাবে না। বাংলানিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!