Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দুই মামলার শুনানি পেছালো

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দুই মামলার শুনানি পেছালো

নিউজ ডেক্স : একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে দায়ের করা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাত মামলা ও আয়কর ফাঁকির মামলার শুনানি পিছিয়েছে।

সোমবার (৭ ডিসেম্বর) পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক সৈয়দা হোসনে আরার আদালতে অর্থ আত্মসাৎ এবং বিশেষ জজ আদালত-৩ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে আয়কর ফাঁকির মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল।

তবে এদিন শুনানির জন্য প্রস্তুত নয় জানিয়ে সময় আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৮ ডিসেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

অপরদিকে, আয়কর ফাঁকির মামলায় সাক্ষী আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় সময় আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিক উদ্দীন (বাচ্চু)। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৬ জানুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

আয়কর ফাঁকির মামলায় দেলোওয়ার হোসাইন সাঈদী একমাত্র আসামি। অর্থ আত্মসাতের মামলায় দেলোওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ৬ জন আসামি। অপর ৫ আসামি হলেন-ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুল হক, মসজিদ কাউন্সিল ফর কমিউনিটি অ্যাডভান্সমেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, বন্ধুজন পরিষদের প্রধান সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুস, ইসলামী সমাজ কল্যাণ কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ কাউন্সিলের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল হক।

আসামিদের মধ্যে দেলোওয়ার হোসাইন সাঈদী কারাগারে আছেন। আবুল কালাম আজাদ এবং আব্দুল হক পলাতক রয়েছেন। অপর তিন আসামি জামিনে রয়েছেন।

ইফার যাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) আইয়ুব আলী চৌধুরী ২০১০ সালের ২৪ মে শেরে বাংলা নগর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ২০০৫-০৬ অর্থ বছরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যাকাত বোর্ডের ১ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার  টাকা এবং ২০০৪-০৫ অর্থ বছরের ১৩ লাখ টাকাসহ যাকাত তহবিলের মোট ১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার দেশের ৬৪ জেলায় গরিব ও দুস্থদের না দিয়ে নিজেদের দলীয় প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ করে আত্মসাত করেন। ওই অর্থের মধ্যে সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশারেফ হোসেন শাহজাহান জাতীয় বন্ধুজন পরিষদ ভোলার অনুকূলে ৫০ লাখ, কাঁঠালিয়া মুসলিম এ কে  ইনস্টিটিউটের অনুকূলে ৬ লাখ ৫০ হাজার, মাওলানা আবুল কালাম আযাদের মসজিদ কাউন্সিল ফর কামউনিটি অ্যাডভান্সমেন্টের অনুকূলে ৪৫ লাখ, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির তৎকালীন সভাপতি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ইসলামী সমাজ কল্যাণ কেন্দ্র পিরোজপুরের অনুকূলে ৫ লাখ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুতফুল হকের দারুল কারার সোসাইটি, শরিয়তপুরের অনুকূলে ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন।

মামলাটি তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এদিকে, ২ কোটি ২৭ লাখ ৪০ হাজার ১২০ টাকা আয় গোপন করে তার ওপর প্রযোজ্য কর ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার ৮১২ টাকা কর ফাঁকির অভিযোগে ২০১১ সালের ১৯ আগস্ট এনবিআর মামলাটি দায়ের করা হয়। পরের বছর ১৫ সেপ্টেম্বর মামলাটি সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। বাংলানিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!