Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ড বহাল

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ড বহাল

Saidi20170515110623

নিউজ ডেক্স : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে সাঈদীর বিরুদ্ধে আগের রায় আমৃত্যু কারাদণ্ড বহাল রইল।

সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন, বিচারপতি আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।

এর আগে আজ (সোমবার) আপিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও সাঈদীর করা আবেদন দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়। আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারি জামায়াতের নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ডের জন্য আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই বছরের ১৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে রিভিউ করেছিলেন সাঈদী।

এর আগে আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের করা দুটি আপিল আংশিক মঞ্জুর করে বেঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতিদের মতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়ে সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাচঁ বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চে এ রায় ঘোষণা করেন।

আপিলের রায়ে বলা হয়, ১০, ১৬ ও ১৯ নম্বর অভিযোগে সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে ৬, ১১ ও ১৪ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়। একই সঙ্গে ৮ নম্বর অভিযোগের অংশবিশেষে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে সাঈদীকে খালাস এবং এ অভিযোগের অংশবিশেষে তাকে ১২ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়াও সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে ৭ নম্বর অভিযোগে তাকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এর আগে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা, ধর্ষণ, লুট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর বিরুদ্ধে গঠিত ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি প্রমাণিত হয়। এর আগে ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর সাঈদীর বিচার শুরু হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!