ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | দেরিতে হলেও জনগণকে হতাশ করবে না বিএনপি : অলি

দেরিতে হলেও জনগণকে হতাশ করবে না বিএনপি : অলি

নিউজ ডেক্স : দেরিতে হলেও বিএনপি জনগণকে হতাশ করবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দলটির সাবেক নেতা, এলডিপি সভাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ। তিনি বলেন, বাস্তবতার নিরিখে দলকে শক্তিশালী করা ও এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও সফলতা কামনা করি। ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক শুভেচ্ছা বার্তায় অলি আহমদ এসব কথা বলেন।

বার্তায় অলি আহমদ বলেন, শহীদ জিয়ার মৃত্যুর পর খালেদা জিয়া দিন-রাত্রি অমানবিক পরিশ্রম করে, ছোট ছোট সন্তানদের সঙ্গ ত্যাগ করে, জিয়ার আদর্শ নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ান। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর তিনি আমাদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে চষে বেড়িয়েছেন। এর পেছনে মূল লক্ষ্য ছিল দুটি ১. নিজেকে নেত্রী হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরা। ২. বিএনপিকে জনগণের দল হিসেবে গড়ে তোলা।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নতুন করে জন্ম হয়। ১৯৭৫ সালে দেশে কোনও আওয়ামী লীগ ছিল না। আওয়ামী লীগের নাম পরিবর্তন করে রাতারাতি বাকশাল করা হয়েছিল। তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিএনপিকে মাঠের রাজনীতিতে দাঁড় করানোটা খালেদা জিয়ার কাছে ছিল বিরাট এক চ্যালেঞ্জ।

অলি আহমদ অভিযোগ করেন, রাজনীতি এখন আওয়ামী লীগ ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছে। প্রতিনিয়ত মিথ্যার ওপরে ভিত্তি করে নেতারা বিবৃতিযুদ্ধে অবতীর্ণ হচ্ছেন। অনেকে দুর্নীতির কারণে সরকারের সঙ্গে আঁতাতের করে হিসাব-নিকাশে বক্তব্য রাখেন। অলি আহমদ বলেন, ২০০০ সালে আমি এবং আমার স্ত্রী সেনানিবাসে খালেদা জিয়ার বাসভবনে গিয়েছিলাম। তাকে অনুরোধ করেছিলাম, তারেক রহমানকে সরাসরি দলের নেতৃত্বে না আনার জন্য। এটাও বলেছিলাম, প্রথমে তাকে দলের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করতে দেন। সবার সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ করে দিন। কারণ, রাজনীতির মারপ্যাঁচ শেখার প্রয়োজন আছে তার। এর মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন হবে।

অলি বলেন, বিএনপি ছিল জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী জনগণের আসা-ভরসার স্থল। কিন্তু বর্তমানে সেটাতে চিড় ধরেছে। কারণ, দলের শীর্ষ দুই নেতাই দেশের রাজনীতির ময়দান থেকে একেবারে অনুপস্থিত। দুই জনই অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত হতে পারছেন না।

অলি বলেন, সুতরাং, অভিভাবকহীন অবস্থায় দল চলছে। আসলে যৌথ নেতৃত্বের মাধ্যমে কখনও রাজনৈতিক দল চলে না। এটা যদি কোনও উত্তম পন্থা হতো আল্লাহ-রাব্বুল আলামিনও এই পৃথিবীতে একসঙ্গে ১০/১৫ জন করে পয়গম্বর (নবী) প্রেরণ করতেন। ‘লিডার লিডস, নট লেড বাই দ্য ওয়ার্কার্স’। অর্থাৎ নেতা নেতৃত্ব দেন। আর কর্মীরা সেটা বাস্তবায়ন করেন’- শুভেচ্ছা বার্তায় উল্লেখ করেন অলি আহমদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!