Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | দুর্ঘটনা থেকে ট্রেন রক্ষা করা ২ শিশুর দায়িত্ব নিলেন প্রতিমন্ত্রী

দুর্ঘটনা থেকে ট্রেন রক্ষা করা ২ শিশুর দায়িত্ব নিলেন প্রতিমন্ত্রী

bagha-tran-thamalo-sisu_66799_1513601826
নিউজ ডেক্স :রেললাইনের ত্রুটি দেখে লাল মাফলার দেখিয়ে তেলবাহী ট্রেনকে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেছে দুই শিশু। সংবাদটি দেখে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ওই ২ শিশুর দায়িত্ব নিয়েছেন।
তাদের দুইজনকে প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে নিজের অর্থায়নে বৃত্তি দেবেন। এছাড়া ২ শিশু এসএসসি পাসের পর পুনরায় আলাদাভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
সোমবার বিকাল ৫টা ৫ মিনিটে মোবাইলফোনে এই প্রতিবেদককে ওই দুই শিশুর দায়িত্ব নেয়ার কথা জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আড়ানী রেলস্টেশনের ৪০০ মিটার পূর্বদিকে ঝিনা রেলগেটে লাইন ভাঙা দেখে ২ শিশু উপস্থিত বুদ্ধির জোরে গলায় পেঁচানো লাল মাফলার তুলে ধরে। এটা দেখে চালক ট্রেনটিকে থামিয়ে দেয়।
আড়ানী স্টেশনে কর্মরত মাস্টার নয়ন আহম্মেদ জানান, তেলবাহী ট্রেনচালক কেএম মহিউদ্দিন দুই শিশুর মাফলার দিয়ে সিগন্যাল লক্ষ্য করেন। এরপর তিনি ট্রেন থামিয়ে দেন। এই কারণে দুই ঘণ্টা রাজশাহীর সব ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে রাজশাহী রেলওয়ের কর্তকর্তাদের জানানো হয়। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে রেললাইন মেরামত করলে আবার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
লাল মাফলার দিয়ে ট্রেন থামানো সেই দুই শিশু ঝিনা গ্রামের সুমন হোসেনের ছেলে সিহাব হোসেন (৬) ও একই গ্রামের মহিদুল ইসলামের ছেলে টিটোন ইসলাম (৭)। তারা স্থানীয় ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। সিহাব হোসেন প্রথম শ্রেণি ও টিটোন ইসলাম দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। অতি দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় তারা মাঠে কাজ করার পর স্কুলে লেখাপড়া করে।
তারা জানায়, পাশের এক ক্ষেত থেকে তারা বাড়ি ফিরছিল। এই সময় দেখে রেললাইন ভাঙা। আর ট্রেন আসতে দেখে তারা লাল মাফলার দিয়ে ট্রেনট থামিয়ে দেয়।
ট্রেনচালক কেএম মহিউদ্দিন জানান, খুলনা থেকে রাজশাহীতে নিয়ে তেল আনা হচ্ছিল। পথে আড়ানী স্টেশনের একটু দূরে ঝিনা রেলগেট এলাকায় লাইন ভাঙা দেখে সিহাব ও টিটোন নামের দুই ছেলে মাফলার দিয়ে সিগন্যাল দেয়।
তিনি বলেন, প্রথমে ভাবলাম থামব না, তার পরেও ট্রেন থামিয়ে এসে দেখি রেললাইন ভাঙা। পরে আড়ানী স্টেশনের মাস্টার নয়ন আহম্মেদকে জানানো হয়।
তেলবাহী ট্রেনের পরিচালক আরশেদ আলী জানান, হঠাৎ ট্রেন থামিয়ে দেয়ার কারণে চালকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলাম। পরে দেখি রেললাইন ভাঙা। বিষয়টি রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক অবগতি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!