নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠানের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার রাতে এই তথ্য জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
উপাচার্য বলেন, ‘চাকসু নির্বাচনের আয়োজন করা হচ্ছে। গতকাল প্রভোস্ট কমিটির সভা ছিল। ওই সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদের নীতিমালা সংগ্রহ করে সে অনুযায়ী চাকসুর নীতিমালা নতুন করে প্রণয়ন করা হবে। এ ছাড়া সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা হবে। সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত হলেই চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
সূত্র জানায়, সব আবাসিক হলের প্রভোস্টকে চাকসু নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার থেকে কাজ শুরু হচ্ছে। এরই মধ্যে আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হবে। যেহেতু প্রায় ২৯ বছর ধরে চাকসু নির্বাচন হয়নি, তাই প্রথমে একটি কমিটি গঠন করে নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন আনা হবে। আর এই নীতিমালা পর্যালোচনা করার জন্য উপাচার্য আরেকটি কমিটি গঠন করবেন। পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক কমিটি রাষ্ট্রীয় অনুমোদন নিয়ে নির্বাচন দেওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।
আলাওল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আবদুল হক বলেন, ‘নির্বাচন হচ্ছে। প্রভোস্টরা উপাচার্যের নির্দেশমতো আগামীকাল (আজ বৃহস্পতিবার) থেকে কাজ শুরু করবেন। পর্যায়ক্রমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কাজ এগিয়ে যাবে। নীতিমালায় কিছু পরিবর্তনসহ সব প্রস্তুতি শেষে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করা হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘কোনো ধরনের চাপ ছাড়াই উপাচার্যের নিজ আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে চাকসু নির্বাচনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। ওই নির্বাচনের ১০ মাসের ব্যবধানে তত্কালীন এরশাদ সরকারের পতন হয়। এরপর বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে কয়েক দফায় ক্ষমতার পালাবদল হলেও চাকসু নির্বাচন নিয়ে কেউই মাথা ঘামায়নি। এই নির্বাচনের দাবিতে ছাত্রলীগসহ অন্যান্য ছাত্রসংগঠন দীর্ঘদিন ধরে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।