ব্রেকিং নিউজ
Home | ব্রেকিং নিউজ | চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড : অটো পাসের জেএসসিতে অনিয়ম

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড : অটো পাসের জেএসসিতে অনিয়ম

নিউজ ডেক্স : ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর জারিকৃত এক আদেশের মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতিতে ওই বছরের (২০২০ সালের) জেএসসি পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরদিন (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা শিক্ষাবোর্ড এবং ৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্ত বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করে। এর মধ্যে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শিক্ষাবোর্ডগুলো। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষে ২০২০ সালের জেএসসি পরীক্ষার্থীদের চূড়ান্ত রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণে ২০২১ সালের ১২ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড।

বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিপ্লব গাঙ্গুলী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১৭ থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চূড়ান্ত রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণ কার্যক্রম চলে। পরবর্তীতে ৩০ জানুয়ারি ২০২০ সালের জেএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ফল (তালিকা) প্রকাশ করে বোর্ডের পরীক্ষা শাখা। পরীক্ষা গ্রহণ না করে অটোপাসের সিদ্ধান্ত থাকায় মূলত ৮ম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশনকৃত সকল শিক্ষার্থীকে জেএসসি উত্তীর্ণ হিসেবে দেখানো হয়। নিয়ম অনুযায়ী ফল প্রকাশের সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে তা পরিমার্জনের সুযোগ থাকে। সেটিও পুনঃনিরীক্ষণের ক্ষেত্রে। কিন্তু পরীক্ষা গ্রহণ না করায় ২০২০ সালের জেএসসিতে পুনঃনিরীক্ষারও কোনো বিষয় ছিল না।

অবশ্য, জেএসসি উত্তীর্ণদের তালিকা অনলাইনে প্রকাশের পর তাতে কোনো ভুল-ত্রুটি থাকলে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বোর্ডের পরীক্ষা (মাধ্যমিক) শাখায় যোগাযোগ করে তা সংশোধনের জন্য নির্দেশনা দেয় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড। বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথের স্বাক্ষরে ১৫ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতি এ নির্দেশনা দেয়া হয়। পরীক্ষা শাখার নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জেএসসি ২০২০-এর ফলাফলে ভুল-ত্রুটি সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ফল প্রকাশের এক-দুমাস নয়, প্রায় ৯ মাস পরও নতুন করে রেজিস্ট্রেশন ও রোল নম্বর জেনারেট করিয়ে ৩৪ শিক্ষার্থীকে ২০২০ সালের জেএসসি উত্তীর্ণের তালিকায় যুক্ত করার ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে। এই ঘটনাকে ‘গুরুতর অনিয়ম’ হিসেবেই দেখছেন শিক্ষাবোর্ড সংশ্লিষ্টরা। আর এ অনিয়মের সাথে বোর্ডের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার তথ্য উঠে এসেছে। উল্লেখ্য, ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকে বোর্ডের বিদ্যালয় শাখা। বর্তমান বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিপ্লব গাঙ্গুলী এ শাখার প্রধান। আর রোল নম্বর জেনারেট পূর্বক ফলাফল তৈরি ও প্রকাশের দায়িত্ব বোর্ডের পরীক্ষা শাখার। এ শাখার প্রধান বর্তমান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ৫ জন শিক্ষার্থীকে বিশেষ অনুমতিতে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের জেএসসির রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি দিয়ে কম্পিউটার শাখার সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্টকে চিঠি দেন বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিপ্লব গাঙ্গুলী। গত ১৯ অক্টোবর (২০২১ সালের) প্রদত্ত এ চিঠিতে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়সমূহের প্রধান শিক্ষকের সুপারিশের প্রেক্ষিতে বিশেষ এ অনুমতি প্রদানের কথা উল্লেখ করেছেন বিদ্যালয় পরিদর্শক। এর দুদিন পর গত ২১ অক্টোবর এই ৫ জনের পাশাপাশি আরো ২৯ জনসহ মোট ৩৪ জন শিক্ষার্থীর ২০২০ সালের জেএসসির রোল নম্বর জেনারেট করার অনুমতি চেয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর চিঠি দেন কম্পিউটার শাখার সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট কিবরিয়া মাসুদ খান। কম্পিউটার শাখার এই চিঠির প্রেক্ষিতে একই দিনে (২১ অক্টোবর) সংশ্লিষ্ট ৩৪ শিক্ষার্থীর রোল নম্বর জেনারেট করার অনুমতি দেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ। অবশ্য, বিদ্যালয় পরিদর্শকের চিঠির অনুলিপি দেয়া হয় কেবল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে। আর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট একে-অপরকে চিঠি দিলেও কাউকে এর অনুলিপি দেয়া হয়নি। এই প্রক্রিয়ায় রেজিস্ট্রেশন ও রোল নম্বর জেনারেট পরবর্তী এসব শিক্ষার্থীকে ২০২০ সালের জেএসসি পাশের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। তাদের জেএসসির সনদও ইতোমধ্যে প্রিন্ট হয়ে গেছে বলে বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। জড়িত কর্মকর্তারা বিশাল অংকের লেনদেনের মাধ্যমে এ কাজ করে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন শিক্ষাবোর্ড কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি অংশ। আর শিক্ষাবোর্ড কর্মকর্তাদের একটি চক্র বেশ কয়েক বছর ধরে এ ধরনের অনিয়ম-জালিয়াতিতে সক্রিয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

এক শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে উল্টো ঘটনা : ফল প্রকাশের প্রায় ৯ মাস পর নতুন করে রেজিস্ট্রেশন ও রোল নম্বর জেনারেট করে ৩৪ শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণের তালিকায় যুক্ত করা হলেও নির্দিষ্ট সময়ে ফি জমাদানের পরও রেজিস্ট্রেশন হয়নি এক শিক্ষার্থীর। আর রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় ওই শিক্ষার্থী শেষ পর্যন্ত ৯ম শ্রেণিতে ভর্তিরও সুযোগ পায়নি। ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম জান্নাত আক্তার। সে ইপিজেড এলাকার ডিএইচ নলেজ ফেয়ার স্কুলের শিক্ষার্থী। যদিও পতেঙ্গা সী ভিউ পাবলিক স্কুলের অধীনে রেজিস্ট্রেশনের জন্য তার ফি জমা দেয়া হয়।

স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ২০২০ শিক্ষাবর্ষে জেএসসির মোট ১৮০ জন শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশনের জন্য ফি জমা দানপূর্বক তালিকা জমা দেয়া হয় শিক্ষাবোর্ডে। কিন্তু ১৭৯ জন শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ড পেলেও জান্নাত আক্তারের রেজিস্ট্রেশন কার্ড পাওয়া যায়নি। যদিও ফি জমাদানের পর বোর্ডের ইএসআইএফ (ইলেকট্রনিক স্টুডেন্ট ইনফরমেশন ফরম) তালিকায় ওই শিক্ষার্থীর নামও (ছবিসহ) ছিল। ওই শিক্ষার্থীর মূল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেনের দাবি- বিষয়টি নিয়ে স্কুলের পক্ষ থেকে ফেব্রুয়ারিতে বোর্ডের বিদ্যালয় শাখায় যোগাযোগ করা হয়। তারা সেকশনে আবেদন ও কাগজপত্র জমা দেয়ার পরামর্শ দেন। কাগজপত্র জমা দিলেও পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন হয়নি বলে জানতে পারেন। পরে গত ৫ সেপ্টেম্বর (চলতি বছরের) স্কুলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আবারো লিখিত আবেদন করা হয়। পরবর্তীতে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে নিয়ে বাংলাদেশ কিন্ডার গার্টেন স্কুল এন্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান এম ইকবাল বাহার চৌধুরীও বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে বোর্ডের বিদ্যালয় শাখায় যান। বিদ্যালয় পরিদর্শকের পরামর্শে পরে বোর্ড চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলতে যান তারা। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেছে এবং রেজিস্ট্রেশনের আর সুযোগ নেই মর্মে সাফ জানিয়ে দেন বোর্ড চেয়ারম্যান। ওই দিন এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রদীপ চক্রবর্তী ফাইল ছুঁড়ে মারার পাশাপাশি খারাপ ব্যবহার করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন ইকবাল বাহার চৌধুরী ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন।

গত মাসের (নভেম্বর) শুরুর দিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিপ্লব গাঙ্গুলী বলেন, ওই শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন না হওয়ার পিছনে সংশ্লিষ্ট স্কুলের গাফিলতি রয়েছে। তারা সময় মতো যোগাযোগ করেনি। তাদের বক্তব্য ফেব্রুয়ারিতে তারা আবেদন করেছে। যদিও সেপ্টেম্বরে করা তাদের একটি আবেদন আমরা পেয়েছি। কিন্তু ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসের দিকেই রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম আমরা ক্লোজড করে দিয়েছি। এরপর আসলে নীতিগত ভাবে নতুন করে রেজিস্ট্রেশনের কোনো সুযোগ নেই। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসের পর ২০২০ সালের জেএসসির জন্য নতুন করে কোনো শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন হয়েছে কী না জানতে চাইলে বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিপ্লব গাঙ্গুলী বলেন, ওই সময়ের (ফেব্রুয়ারি-মার্চের) পর নতুন করে কোনো শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন আমরা করিনি।

এ বিষয়ে একটি অনলাইন গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্তীও ওই শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে এখন আর কিছুই করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন।

৩৪ শিক্ষার্থীর বিষয়ে বক্তব্য : নতুন রেজিস্ট্রেশন ও রোল নম্বর জেনারেটরের মাধ্যমে ৩৪ শিক্ষার্থীকে জেএসসি উত্তীর্ণের তালিকায় যুক্ত করার বিষয়টি অস্বীকার করেন নি বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ। ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি ২০২০ সালের জেএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হয় জানিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, ফি জমাদানের পর ইএসআইএফ-এ নাম ছিল এমন শিক্ষার্থীদের বিষয়টি আমরা বিবেচনায় নিয়েছি। বিশেষ করে ৩০ জানুয়ারি ফল প্রকাশের আগে যাদের আবেদন ছিল। প্রসেসের দুর্বলতার কারণে এ ধরনের বেশ কিছু শিক্ষার্থীর বিষয় আটকে ছিল। আমরা তাদের বিষয়টি ছাড় করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলাম। যেহেতু ফল প্রকাশের পরে করা হয়েছে, সেহেতু অবশ্যই চেয়ারম্যান মহোদয়ের অনুমোদন ক্রমে (ফাইল পাস করে) এটি করা হয়েছে। যদিও সময় নিয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারেননি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। দাফতরিক চিঠি অনুযায়ী অক্টোবরের ২০ তারিখের পর এই ৩৪ শিক্ষার্থীকে পাসের তালিকায় যুক্ত করা হলেও জুলাই মাসের দিকে এটি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ। কিন্তু জানুয়ারির আগে করা আবেদন নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসময় (প্রায় ১০ মাস) লাগার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো কিছু বলতে পারেননি।

একইভাবে অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিপ্লব গাঙ্গুলীও। প্রথম দফায় ফেব্রুয়ারি-মার্চের পরে নতুন করে কোনো রেজিস্ট্রেশন করেননি দাবি করলেও পরবর্তীতে কিছু শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশনের কথা স্বীকার করেন তিনি। সবমিলিয়ে ৩৪ শিক্ষার্থীর বিষয়টি গত মে-জুন মাসের দিকে করা হয়েছে জানিয়ে ড. বিপ্লব গাঙ্গুলী বলেন, বিশেষ অনুমতিতে এসব শিক্ষার্থীর বিষয়টি ছাড় করা হয়েছে। তাও ৩/৪ মাস আগে, মে-জুন মাসের দিকে। তবে এই সময়ে এসে (সমপ্রতি) নতুন করে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ কোনো ভাবেই নেই বলে মন্তব্য করেন শিক্ষাবোর্ডের এই বিদ্যালয় পরিদর্শক।

সংশ্লিষ্টরা যা বলছেন : ২০২০ সালের জেএসসির চ্যাপ্টার অনেক আগেই শেষ জানিয়ে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস এম আমিরুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, এই সময়ে (অক্টোবরে) এসে নতুন কিছু করে ২০২০ সালের জেএসসি পাস করানোর কোনো সুযোগ নেই।

সাধারণত এটি নিয়মের মধ্যেই পড়ে না মন্তব্য করে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এ ধরণের কোনো বিষয় তো উত্থাপনেরও কথা না। রেজিস্ট্রেশনের একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে। ওই সময়ের পরও হয়তো বিভিন্ন কারণে অল্প কিছু সময় দেয়া হয়। কিন্তু ফরম পূরণ বা ফল প্রকাশের পর নতুন করে রেজিস্ট্রেশনের কোনো সুযোগই নেই। এরকম যদি হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে নিয়মের ব্যত্যয় হয়েছে বলা যায়। নথি (ফাইল) অনুমোদনের মাধ্যমেও যদি এ ধরনের কাজ হয়ে থাকে, সেটি নিয়মসিদ্ধ হয়নি বলে মনে করেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের বিদায়ী চেয়ারম্যান প্রফেসর শাহেদা ইসলাম। তিনি আজাদীকে বলেন, ফল প্রকাশের এত সময় (৯ মাস) পর এসে নথি পাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন বা পাস করানোর কোনো সুযোগ নেই। এরকম হলে তো বছরের পর বছর ধরে এভাবে রেজিস্ট্রেশন-পাস করানো চলতে থাকবে।

বোর্ড কমিটির সভা আজ : শিক্ষাবোর্ডের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম হিসেবে বোর্ড কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। শনিবার সকালে বোর্ড মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় অন্যান্য পরীক্ষার পাশাপাশি ২০২০ সালের জেএসসির ফলাফলও অনুমোদনের কথা রয়েছে। তাছাড়া আর্থিক সংক্রান্ত বিভিন্ন সিদ্ধান্তও অনুমোদনের জন্য উত্থাপনের কথা রয়েছে বোর্ড সভায়। আজাদী প্রতিবেদন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!