মারুফ খান : কঠিন বাস্তবায়তায় দিনযাপন করছে শরমিন আক্তার (১৬)। পদুয়া এসআই চৌধুরী বালিকা বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। নিয়তির নির্মম পরিহাস পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে তার জীবনে নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকার। শরমিন আক্তার অনিশ্চয়তার এ কঠিন দেওয়াল অতিক্রম করতে পারবে কি? গত ৯ ফেব্রুয়ারী শনিবার মর্গে পিতার লাশ রেখে দক্ষিণ সাতকানিয়া গোলামবারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অংক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ভূমিহীন কৃষকের সন্তান সিএনজি অটোরিক্সা চালক আবদুল মোনাফ দু’সন্তানের জনক। মেয়ে শরমিন আক্তার (১৬) এসএসসি পরীক্ষার্থী ও পুত্র মোঃ শাকিল (১৪) মানষিক প্রতিবন্ধী। উপার্জনক্ষম এ পরিবারের পুনর্বাসন অতীব জরুরী। বর্তমানে এ পরিবারের একবেলা খাবারের নিশ্চিয়তা নেই। জীবন পরীক্ষার এক কঠিন বাস্তবতায় এ পরিবার উত্তীর্ণ হতে পারবে কিনা এটাই এখন প্রশ্ন।
এলাকাবাসী আরো জানিয়েছেন, সিএনজি অটোরিক্সা চালক আবদুল মোনাফের অভাবের সংসার হলেও ছেলে-মেয়েদের কোনদিন বুঝতে দেননি। ছায়ার মতো সবসময় পাশে ছিলেন। আঘলে রেখেছিলেন। শরমিনের পড়ালেখা ও পরিবারের ভরণ পোষণসহ পুর্নবাসনে দানশীল ব্যক্তিরা সহানুভুতির হাত বাড়াবেন এমন প্রত্যাশা করছেন এলাকাবাসী।
লোহাগাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জহির উদ্দিন জানিয়েছেন, এ মৃত্য অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। তারা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন হত্যা রহস্য উৎঘাটনের জন্য।
উল্লেখ্য, লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ধলিবিলা সাইর পাড়া এলাকার সিএনজি অটোরিক্সা চালক আবদুল মোনাফ ৭ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বের হয়ে ফিরে আসেননি। পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার ইউনিয়নের পদুয়া পদ্মবিল হতে গলাকাটা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।