নিউজ ডেক্স : কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের ইনানী ও সুগন্ধা পয়েন্টে সব ধরনের স্থাপনা নির্মাণকাজের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কক্সবাজারের বিচ ম্যানেজমেন্টের নির্দেশনা অনুসারে ওই দুই পয়েন্টে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। বন, পরিবেশসচিব, সিভিল এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম সচিব, কক্সবাজারের বিচ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট ১১ জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন। বাংলাদেশ পরিবেশবিদ আইনজীবী সমিতির (বেলা) করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনকারী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মিনহাজুল হক চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট আলী মোস্তফা খান।
গত ১৩ জুন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে এক সভায় কক্সবাজার বিচ ব্যবস্থাপনা কমিটি ইনানী, লাবনী ও সুগন্ধা পয়েন্টে রাত্রিকালীন বাজার ও মার্কেট নির্মাণ এবং ইনানী পয়েন্টে ১৪৫টি দোকান নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে কক্সবাজারের বিচ এলাকা পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু আইন উপেক্ষা করে ইনানী ও সুগন্ধা সমুদ্রসৈকতে স্থাপনা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে এবং তা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে গত ১৩ নভেম্বর রিট আবেদন করা হয়।