ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | এনআইডি কার্যক্রম ইসিকে সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছে দিয়েছে : সিইসি

এনআইডি কার্যক্রম ইসিকে সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছে দিয়েছে : সিইসি

নিউজ ডেক্স : জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বিশ্বাসের সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছে দিয়েছে। এটি ভোটার তালিকার একটি বাই প্রোডাক্ট। তাই ইসি থেকে অন্য দফতরে হস্তান্তরে সরকারের সিদ্ধান্তে উদ্বেগ জানিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা।

বুধবার (২৩ জুন) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার কাছে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে এমন অবস্থানের কথা জানান তারা। নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তাদের অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নুরুজ্জামান তালুকদার স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে আরো বেশ কিছু যুক্তি তুলে ধরা হয়। বাংলানিউজ

এতে উল্লেখ করা হয়- ২০০৬ সালে ভোটার তালিকা নিয়ে সৃষ্ট সংশয়ের রেশ ধরে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের অংশগ্রহণে দুর্বার আন্দোলনের ফসল হিসেবে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। পরবর্তীকালে ২০০৭-০৮ সালে আদালতের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে দল, মত নির্বিশেষে সবার আস্থার জায়গা থেকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এবং সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় প্রায় ৮.১০ কোটি নাগরিকের তথ্য ও বায়োমেট্রিক্স সংগ্রহপূর্বক জাতীয়ভাবে ভোটার ডাটাবেজ গড়ে তোলা হয়।

জাতিসংঘের ইউএনডিপির সমীক্ষা অনুসারে ভোটারদের এই সংগৃহীত ডাটা ৯৯.৭ % সঠিক মর্মে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে। সময়ের পরিক্রমায় প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং তথ্যের সংযোজন সংশোধন ও বিয়োজনের মাধ্যমে এই ডাটাবেজকে নির্বাচন কমিশনের অভিজ্ঞ জনবল দ্বারা আরো সমৃদ্ধ করা হয়েছে।

২০২০ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ হালনাগাদ অনুসারে প্রায় ১২ কোটি নাগরিকের তথ্য ও বায়োমেট্রিকস সম্বলিত এই ডাটাবেজ বিশ্বে অনন্য এক মাইলফলক। দেশের নাগরিকদের একটি নির্ভুল ডাটাবেজ তৈরিসহ ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ছবিসহ ভোটার তালিকার উপজাত হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান ছিল এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

ভোটার তালিকার ডাটাবেজ থেকে প্রস্তুতকৃত বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশের অন্যতম স্মারক স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র জাতীয় জীবনের গৌরব বহুগুন বাড়িয়ে দিয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের সঠিক ব্যবহারে নাগরিক অধিকার/সুবিধাসমূহ সুসংহত হওয়ায় দেশের জনগণ পেয়েছে সরকারের উন্নয়নের সুবাতাস। এছাড়া জাতীয় পরিচয় সেবা কার্যক্রম বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৭ মের এক চিঠিতে  জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সুরক্ষা সেবা বিভাগে ন্যস্ত করা যেতে পারে মর্মে প্রস্তাব করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ৭ জুন এক চিঠিতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অধীন জাতীয় পরিচয়পত্রের সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার বিষয়ে কমিশনের অবস্থানপত্র মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়।

সাংবধানিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলাপ আলোচনা ব্যতিরেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২০ জুনের চিঠিতে জাতীয় পরিচয়পত্রের সেবা কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সুরক্ষা সেবা বিভাগে ন্যস্ত করার সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অধীন জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার বিষয়ে প্রত্যাশা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!